Read in English
This Article is From Dec 03, 2019

Bhopal Gas Tragedy: ৩৫ বছর পূর্ণ হল ভয়াবহ ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার

বহু শিশু ওই গ্যাস দুর্ঘটনার কারণে আজও জন্মানোর সময় জন্মগত ত্রুটি, সেরিব্রাল পালসি এমনতী ক্যানসার নিয়েও জন্মায়।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

৩৫ বছর পরেও টাটকা ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার ভয়াবহ স্মৃতি। (ফাইল)

ভোপাল:

দেখতে দেখতে কেটে গিয়েছে ৩৫ বছর। আজও পৃথিবীর ইতিহাসে ভয়াবহ শিল্পদূষণের ফলে ঘটে যাওয়া অন্যতম দুর্ঘটনা হিসেবে ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার কথা বলা হয়। ১৯৮৪ সালের এই দিনে ইউনিয়ন কার্বাইডের কারখানা থেকে বিষাক্ত গ্যাস বেরোতে থাকে। মিশে যায় বাতাসে। দ্রুত হাজার হাজার মানুষ ভয়ঙ্কর শ্বাসকষ্টে ভুগতে শুরু করেন। সব মিলিয়ে ২০,০০০-এরও বেশি মানুষ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন সেদিন। রাষ্ট্রসঙ্ঘের আইএলও-এর এক সাম্প্রতিক রিপোর্ট থেকে জানা যাচ্ছে, ১৯৮৮ সালে অন্তত ৩০ টন মিথাইল আইসো সায়ানেট গ্যাস বাতাসে মিশে গিয়েছিল ইউনিয়ন কার্বাইডের রাসায়নিক কারখানা থেকে। প্রায় ৬ লক্ষেরও বেশি কর্মী ও স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন।

ওই রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ১৯১৯ পরবর্তী সময়ে গত ১০০ বছরে প্রধানতম শিল্পদূষণের ফলে হওয়া দুর্ঘটনার অন্যতম ভোপাল দুর্ঘটনা।

ইউনিয়ন কার্বাইড বিভাগের সিইও মার্কিন নাগরিক ওয়ারেন অ্যান্ডারসন ওই দুর্ঘটনার অব্যবহিত পরেই দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তাঁকে কখনওই আদালতে হাজির করা যায়নি। পরে ২০১৩ সালে আমেরিকাতেই মৃত্যু হয় তাঁর।

Advertisement

গত তিন দশকে ২০,০০০-এরও বেশি মানুষের মৃত্যুর বিচার চেয়ে প্রতিবাদে পথে নেমেছেন বহু সমাজকর্মী। তাঁদের আরও অভিযোগ ছিল বহু শিশু ওই গ্যাস দুর্ঘটনার কারণে আজও জন্মানোর সময় জন্মগত ত্রুটি, সেরিব্রাল পালসি এমনতী ক্যানসার নিয়েও জন্মায়।

ভয়ঙ্কর এই দুর্ঘটনার ৩৫ বছর পূর্ণ হল। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেকেই নিহতদের উদ্দেশে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন।

Advertisement

তেলেঙ্গানার সাংসদ অরবিন্দ ধর্মপুরী টুইটারে লেখেন, ‘‘ভোপাল গ্যাস দুর্ঘটনার ৩৫ বছর পূর্ণ হল। হাজার হাজার মানুষ তাঁদের প্রাণ হারিয়েছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষ পঙ্গু হয়ে গিয়েছেন। এমনকী, বিষাক্ত গ্যাসের প্রভাবে বর্তমান প্রজন্মের শিশুদের ক্ষেত্রেও তার প্রভাব লক্ষণীয়। আমি আমার শ্রদ্ধার্ঘ্য জানাই আক্রান্তদের।''

সিপি(আই)এম তাদের অফিসিয়াল অ্যাকাউন্ট থেকে টুইট করে দুঃখপ্রকাশ করে জানিয়েছে, মানুষ খুব দ্রুত এই দুর্ঘটনার কথা বিস্মৃত হয়েছে। এবং মানুষ এও ভুলে গিয়েছে, কারা মূল অপরাধীকে পালানোর রাস্তা করে দিয়েছিল।

Advertisement