This Article is From Apr 30, 2020

একলাফে রাজ্যে করোনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৩, আক্রান্ত ৫৭২

রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছেন আরও ৭২ জন। তবে তাঁরা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলেও মারা গিয়েছেন কোমর্বিডিটির কারণে।

Advertisement
সিটিস Written by

গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৩৭ জন আক্রান্ত হয়েছে করোনায়।

একধাক্কায় বেড়ে গেল রাজ্যে (Bengal) করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা। বৃহস্পতিবার বিকেলে নবান্নে এক সাংবাদিক বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব রাজীব সিনহা জানিয়েছেন, রাজ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এর সঙ্গে রয়েছেন আরও ৭২ জন। তবে তাঁরা কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলেও মারা গিয়েছেন কোমর্বিডিটির কারণে। তিনি আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৩৭ জন আক্রান্ত হয়েছে করোনায়। এর ফলে রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৭২। সুস্থ হয়ে গিয়েছেন ১৩৯ জন। রাজ্য সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে এখনও পর্যন্ত ১৬,৫২৫ জনের শরীরে করোনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরাতে ট্রেনের ব্যবস্থা করার আর্জি বহু রাজ্যের: ১০ তথ্য

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা হয়েছে ১৯০৫ জনের শরীরে। প্রসঙ্গত, এটি একদিনে হওয়া সর্বাধিক টেস্টের রেকর্ড। এর আগে একদিনে ১৩৯৭ জনের শরীরে পরীক্ষা হয়েছিল। প্রতি ১০ লক্ষ জনের হিসেবে ১৮৩ জনের শরীরে পরীক্ষা হয়েছে।

Advertisement

এই মুহূর্তে রাজ্যের ৬৭টি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা হচ্ছে। তার মধ্যে পাঁচটি কলকাতায় অবস্থিত।

প্রায় ৪০ হাজার পরিযায়ী নাগরিককে স্বরাজ্যে ফেরাতে বাস নামাল রাজস্থান সরকার

Advertisement

এদিনের বৈঠকে রাজ্য সরকারের তরফে আরও জানানো হয়েছে, কোভিড আক্রান্ত কোনও রোগীর চিকিৎসা শুরু করতে কোনও সরকারি অনুমোদন লাগবে না। অনুমোদন লাগবে না করোনার পরীক্ষা করানোর জন্যও। 
পাশাপাশি জানানো হয়েছে, মৃতের শংসাপত্র দেওয়া হবে দ্রুত। এবং তাতে মৃত্যুর কারণ রেখান্বিত করা থাকবে।

এদিকে বুধবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেনন, ৩ মে দেশব্যাপী লকডাউন শেষ হলে ৪ মে থেকে করোনায় রাজ্যের কম ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল বা গ্রিন জোনে কারখানা, বাস, ট্যাক্সি ও কিছু কিছু দোকান খোলার অনুমতি দেওয়া হতে পারে।

Advertisement

তিনি আরও জানান, লোকালয়ের একক দোকানগুলি খোলা হতে পারে। এর মধ্যে ইলেকট্রিকের দোকান, মোবাইল ফোনের রিচার্জের দোকান, চায়ের দোকান ও সিগারেটের দোকান রয়েছে। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোথাও কোনও জমায়েতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। এর পাশাপাশি গ্রিন জোনে কারখানা ও নির্মাণকার্য আবার শুরু হতে চলেছে।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ট্যাক্সি ও বাসও চলতে দেওয়া হবে। তবে শর্তসাপেক্ষে। বাসে ২০ জনের বেশি তোলা যাবে না। পাশাপাশি সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে বাসের ভিতরে। এদিকে ট্যাক্সির ক্ষেত্রে তিনজনের বেশি যাত্রী থাকতে পারবেন না। মাস্ক সবার ক্ষেত্রেই আবশ্যিক।

Advertisement

তবে রেড জোনের ক্ষেত্রে কোনও ভাবেই যে লকডাউন তোলা হবে না, তা স্পষ্ট করে দেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রসঙ্গত, হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া ও পূর্ব মেদিনীপুর এই চারটি জেলা রেড জোনের অন্তর্গত।

Advertisement