স্নান সেরে প্রায় লক্ষাধিক তীর্থযাত্রীকে কপিল মুনির আশ্রমে পুজো দিতে দেখা গিয়েছে।
হাইলাইটস
- প্রায় ৫ লক্ষের বেশি তীর্থযাত্রী আগমনের সম্ভাবনা
- মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে প্রায় ৪ লক্ষের বেশি মানুষ স্নান সেরেছেন
- নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে তৎপর জেলা প্রশাসন
গঙ্গাসাগর (কলকাতা): কথায় আছে সব তীর্থ বারবার আর গঙ্গাসাগর (Ganga Sagar) একবার। সেই গঙ্গাসাগরে বুধবার দেশ-বিদেশ মিলিয়ে প্রায় ৩১ লক্ষ তীর্থযাত্রী (Pilgrims) বুধবার পুণ্যস্নান সারলেন। বুধবার মকর সংক্রান্তির (Makar Sankranti) পুণ্যলগ্নে সাগরদ্বীপ যেন মিনি ভারতে পরিণত হয়েছিল। যা গত কয়েক বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। বুধবার দাবি করেছে জেলা প্রশাসন। কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে গত একসপ্তাহ গঙ্গাসাগর মেলাতে তীর্থযাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। প্রায় ৪০ লক্ষ তীর্থযাত্রী এবার নিরাপদে গঙ্গাসাগর ভ্রমণ করেছেন। পুজো দিয়েছেন কপিল মুনির আশ্রমে। দাবি জেলা পুলিশের। প্রতিবছর পৌষ সংক্রান্তির একসপ্তাহ আগে থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগণার গঙ্গাসাগরে এই মেলা বসে। ভিড় জমাতে শুরু করেন দেশ-বিদেশের তীর্থযাত্রী ও সাধু-সন্তরা (Saint-steers)। এই মেলার অন্যতম মূল আকর্ষণ নাগা সন্ন্যাসী। এবারের মেলাতেও তাঁদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এদিন অর্থাৎ বুধবার তিথি মেনেই চলেছে পুণ্যস্নান (Holy Dip)। মঙ্গলবার মধ্যরাত ১২.২৪ নাগাদ শুরু হয়েছে পুণ্যতিথি। বুধবার সন্ধ্যে পর্যন্ত চলবে সেই তিথি বলে খবর। জেলা প্রশাসন মেলার নিরাপত্তা নিশ্ছিদ্র করতে মেলা প্রাঙ্গণ জুড়ে সিসি ক্যামেরা লাগানোর পাশাপাশি ড্রোনেও চালাচ্ছে নজরদারি।
মেলার মূল প্রবেশদ্বারে ছিল কিউআর কোড ব্যান্ড। যেটা পরে তীর্থযাত্রীদের মেলা প্রাঙ্গণে ঢুকতে হয়েছে। কুম্ভ মেলার পরই হিন্দুদের অন্যতম পুণ্যস্থান হিসেবে এই গঙ্গাসাগরকে ধরা হয়। এই গঙ্গাসাগরে ডুব দিলেই নাকি সব পাপ ধুয়ে মুছে যায়। এই বিশ্বাস থেকেই সাগর মেলায় দলে-দলে ভিড় করেন তীর্থযাত্রীরা। মূলত কপিল মুনির মন্দির ঘিরে চলে এই মেলা। স্নান সেরে মুনির আশ্রমে পুজো দিতেও দেখা গিয়েছে লক্ষাধিক তীর্থযাত্রীকে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, জম্মু, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশ, বিহার, মধ্যপ্রদেশের পাশাপাশি নেপাল, বাংলাদেশ-সহ বিশ্বের অন্য দেশের হিন্দু তীর্থযাত্রীরা প্রতিবারের মতো এবারেও মেলায় ভিড় জমিয়েছে। সেই মানুষের ঢল দেখে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর. কুম্ভ মেলা থেকেও এবার গঙ্গাসাগরে ভিড় বেড়েছে। প্রায় ৫০ লক্ষ ছাড়াতে পারে তীর্থযাত্রীর সমাগম, বলে দাবি। জেলা পুলিশ শুধু মেলা প্রাঙ্গণ ও আশপাশের এলাকার নিরাপত্তা নিচিত করতে ১০ হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করেছিল। গত বছর ২০ লক্ষ মানুষ এই মেলায় এসেছিল। এবার সংখ্যাটা প্রায় দ্বিগুণ।
মেলা প্রাঙ্গণের ২ কিমি আগে থেকে প্রায় হাজার সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে চলছে নজরদারি। মেলার মূল কেন্দ্রে পুলিশ কন্ট্রোলরুম থেকে মাঝে মধ্যেই প্রায় আড়াইশো ড্রোন উড়িয়ে মেলার আয়োজন তদারকি করছেন পুলিশকর্তারা। তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহারে মেলায় উপস্থিত তীর্থযাত্রীদের হাতে বিশেষ কিউআর ব্যান্ড পরিয়েছে পুলিশ। ভিড়ের মধ্যে শিশু নিখোঁজের মতো ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জলপথে দুর্ঘটনা এড়াতে উপকূলরক্ষী বাহিনী হোবারক্রাফ্ট আর বিশেষ জলযানের মাধ্যমে চালাচ্ছেন নজরদারি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)