Read in English हिंदी में पढ़ें
This Article is From Feb 18, 2019

মেজর সহ চার জওয়ান নিহত, পুলওয়ামার সংঘর্ষে জঙ্গি কামরান গাজী মারা গেছে

প্রাপ্ত খবর অনুসারে, পিঙ্গলান এলাকায় জঙ্গিদের আত্মগোপনের খবর ছিল। উভয় তরফের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে নিহত হয়েছেন চার জোয়ান

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

এর আগে ১৪ ই ফেব্রুয়ারী জঙ্গি হানার ফলে প্রাণ হারিয়েছেন ৪০ জওয়ান

পুলওয়ামা :

পুলওয়ামার সংঘর্ষের জেরে জঈশ কমান্ডার এবং পাকিস্তানের জঙ্গি কামরান গাজী মারা গেছে। সে মাসুদ আজাহারের খুই ঘনিষ্ট ছিল।  সারা রাত ধরে সংঘর্ষের পরে ভারতের চার জওয়ান প্রাণ হারিয়েছেন। পুলিশ সূত্র থেকে জানানো হয়েছে NDTV -কে। প্রাপ্ত খবর অনুসারে, পিঙ্গলান এলাকায় জঙ্গিদের আত্মগোপনের খবর ছিল। উভয় তরফের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে নিহত হয়েছেন চার জোয়ান। প্রাপ্ত খবর অনুসারে দুই জঙ্গির মৃতদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে, কিন্তু তাদের এখনও সনাক্ত করা যায়নি। তবে প্রাথমিক ভাবে তারা যে  জঈশ-এ-মোহাম্মদের দলের বলেই সন্দেহ করা হচ্ছে।    সূত্র অনুসারে আপাতত গোলাগুলি বন্ধ হয়েছে , কিন্তু তল্লাশি অভিযান চলছে।  সকালের দিকে ফায়ারিং বন্ধ হলেও, দশটা নাগাদ পুনরায় শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।  

ভারতের যে চার জন জওয়ান শহিদ হলেন তাদের মধ্যে ভারতীয় সেনার মেজরও ছিলেন। ভারতীয় সেনার তরফ থেকে এরই খবর সত্য বলে জানানো হয়েছে।  রাত প্রায় ১২ টা থেকে সংঘর্ষ শুরু হয়, আর তা চলে রাত আড়াইটে পর্যন্ত।  লাগাতার এই সংঘর্ষ চলেনি, থেমে থেমে চলছিল। আশঙ্কা করা হচ্ছে যে, সংঘর্ষের পরে জঙ্গিরা ঘটনাস্থল থেকে পালতে সক্ষম হয়েছে। এই ঘটনার ফলে দুই জওয়ান আহত হয়েছেন। পুলিশ সূত্র থেকে জানা গেছে এই সংঘর্ষের জন্য একজন সাধারণ নাগরিকও প্রাণ হারিয়েছেন।

মাঝরাত থেকেই শুরু হয়ে হয়েছিল এই সংঘর্ষ। জানা গেছে, সিআরপিএফের কয়েকজন জওয়ান দুই-তিনজন জঙ্গিকে ঘিরে ফেলে। এই এলাকায় জঙ্গিরা আছে জানার পরে ভারতের সৈন্যরা সেই এলাকা ঘিরে ফেলে ও তল্লাশি অভিযান চালাতে শুরু করে।  তবে জঙ্গিরা ভারতের সৈন্যদের ওপর গুলি চালাতে শুরু করে।  এরপর উভয় তরফ থেকেই গোলাগুলি চলতে থাকে ও তা প্রায় মাঝরাত পর্যন্ত চলে।  

এরআগে বৃহস্পতিবার CRPF-এর গাড়িতে আত্মঘাতী হামলা হয় (Pulwama Attack)। যাতে করে সিআরপিএফের ৪০ জন জওয়ান প্রাণ হারায় এবং আহতের সংখ্যাও যথেষ্ট। এই ঘটনার পিছনে পাকিস্তানের জঙ্গি সংগঠন জ্যাশ-এ-মোহাম্মদের হাত আছে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর ভারতের তরফ থেকেও পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের কাজ শুরু হয়ে গেছে। ভারতের সরকার পাকিস্তান থেকে আমদানি করা সমস্ত পণ্যের ওপর ২০০ শতাংশ শুল্ক বৃদ্ধি করেছে।  পাকিস্তানকে এমএফএন-এর তকমা থেকেও বঞ্চিত করা হয়েছে। 

Advertisement
Advertisement