তাদের ছেলে ধরা সন্দেহ করে গণপ্রহার করা হয় এবং চার জনের মধ্যে দুজনকে অনাবৃতও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে এসপি
জলপাইগুড়ি: একই মাসের মধ্যে চারবার ছেলেধরা সন্দেহে গণপিটুনির অভিযোগ উঠল একই এলাকায়, গতকাল পশ্চিমবঙ্গে চারজন মহিলাকে ছেলেধরা সন্দেহে প্রহার করা হয় এবং তাদের মধ্যে দুইজনকে অনাবৃত করা হয়েছে বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্র থেকে। ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি ব্লকের ডাউকিমারী গ্রামে। ছেলেধরা সন্দেহে বারংবার গণরোষের মুখে পড়তে হয়েছে কিছু মানুষকে।
গত সপ্তাহে এই একই অভিযোগে, এই এলাকাতে একজন মানসিক ভাবে ভারসাম্যহীন মহিলাকে ধরে মারা হয়েছিল।
এই এলাকার এসপি অমিতাভ মাইতি জানিয়েছেন যে, এই চারজন মহিলার মধ্যে একজনও এই এলাকার বাসিন্দা নন, তাদের বয়স 20 থেকে 50 -এর মধ্যে।
এই চারজনের মধ্যে একজন বারংবার জানিয়েছে যে সে নাকি তার আত্মীয়ের বাড়ির খোঁজ করছিল, অপর একজন জানিয়েছে যে সে তার আত্মীয়ের বাড়িতে ঘুরতে এসেছে, একজন জানিয়েছে সে লোকের দরজায় দরজায় ঘুরে জামা-কাপড় বিক্রি করে আর একজন জানিয়েছে সে পার্শ্ববর্তী একটি ব্যাংকে এসেছিল। সবটাই জানা গেছে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের থেকে।
তাদের ছেলে ধরা সন্দেহ করে গণপ্রহার করা হয় এবং চার জনের মধ্যে দুজনকে অনাবৃতও করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে এসপি অমিতাভ মাইতি।
এই ভিড়ের হাত থেকে তাদের বাঁচিয়ে পাশের একটা স্বাস্থ্য কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে তাদের অবস্থার উন্নতি ঘটেছে বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্র থেকে।
এই মাসের শুরুর দিকে ছেলেধরা বিষয়ে একটা গুজব রটার পরে মাল ব্লকের ক্রান্তি এলাকার বহু মানুষই আহত হয়েছে, এমনকি ছেলেধরা সন্দেহে পাথর ছুঁড়েও মারা হয়েছিল তাদের।
কিছু দিন আগেই সদর ব্লকের বালাপাড়া এলাকায় এক ব্যক্তিকে ছেলেধরা সন্দেহে প্রবল মারধর করা হয়, পুলিশ সূত্র থেকেই বিষয়টি জানা গেছে।
মাইতি জানিয়েছেন যে, এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি, কারণ অভিযোগ কোনো নির্দ্দিষ্ট মানুষের দিকে নয়, এর সাথে বহু মানুষ যুক্ত। তিনি জানিয়েছেন যে, ছেলেধরা সম্পর্কিত গুজবটা মানুষের মস্তিষ্কে বসে গেছে যার ফল এলাকার আইন ভঙ্গ হচ্ছে এবং সম্পূর্ণ এলাকা জুড়ে সন্ত্রাসের সৃষ্টি হচ্ছে।
''এই বিষয়ে মানুষকে সচেতন করার জন্য আমরা যথেষ্ট চেষ্টা চালাচ্ছি, সোশ্যাল মিডিয়ার সাহায্যে আমরা মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করছি, এমনকি মাইকেও ঘোষণা করা হচ্ছে। কোনো রকম সাহায্যের প্রয়োজন হলে হেল্প লাইন নম্বরে ফোন করে পুলিশের সাথে যোগাযোগ করতে পারে তারা, কিন্তু কোনো ভাবেই আইনকে হাতে নেওয়া উচিত না। '' জানিয়েছেন তিনি।
এই ঘটনার পিছনে যাদের হাত আছে পুলিশ তাদের খুঁজে বার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে, তিনি আরও জানিয়েছেন যে পুলিশ যত শীঘ্র সম্ভব এই ঘটনার নিষ্পত্তি করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)