এখানে রইল গুরুত্বপূর্ণ দশটি তথ্য
এখনও পর্যন্ত অসমের ৩৩ টির মধ্যে ৩০টি জেলা বন্যা কবলিত, যারা ফলে ক্ষতিগ্রস্ত ৪৩ লক্ষ মানুষ। বন্যার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হয়েছে বরপেটা জেলা। এই বন্যা জেলার ৭.৩৫ লক্ষ মানুষকে ঘরছাড়া করেছে। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত জেলা গুলির মধ্যে মোরিগ্রাম, গবালাপাড়া, নগ্রাম এবং হাইলাকান্দি উল্লেখযোগ্য।
বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে ব্রহ্মপুত্রের জল, যার ফলে রাজধানী গুয়াহাটিও বন্যা কবলিত হওয়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। বর্তমানে রাজ্যের দশটি নদী বিপদ সীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বন্যা কবলিত মানুষ গুলিকে আশ্রয় দেওয়ার জন্য রাজ্যে মোট ১৮৩ টি ত্রাণ শিবির গড়ে তোলা হয়েছে, তাতে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ৮৩ লক্ষ মানুষ।
বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত অসমের কাজিরাঙা অভয় অরণ্য। অরণ্যের ভেতর দিয়ে বয়ে চলেছে জলস্রোত, যার ফলে মারা গেছে ১৭ টি পশু।
এই বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসমের কৃষকরা। জলের নিচে চলে গেছে প্রায় ৯০ হাজার হেক্টর জমি।
রাজ্য সরকারের মতে, এখনও পর্যন্ত এনডিআরএফের মোট ১৫ টি দল উদ্ধার কার্যে হাত লাগিয়েছে।
বন্যা কবলিত মানুষ গুলির খোঁজ খবর দেওয়ার জন্য যে সমস্ত কন্ট্রোল রুম গুলি খোলা হয়েছে, সেখানেও দেখা যাচ্ছে প্রচন্ড ভিড়। আত্মীয় পরিজনদের খোঁজ নেওয়ার জন্য প্রায় সারাদিনই ফোন আসছে।
আবহাওয়া দপ্তর থেকে দেওয়া রিপোর্ট অনুসারে, আগামী কয়েকদিনে বন্যা পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে উঠতে পারে। বিশেষ করে বন্যা কবলিত এলাকা গুলিতে এখনও বৃষ্টি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আকাশ পথে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে দেখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অসমের মুখ্যমন্ত্রী সোনোওয়াল।
অসমের পীড়িত মানুষ গুলিকে যথাযথ সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে কেন্দ্র সরকার।