This Article is From Mar 26, 2020

"২৪ ঘণ্টায় প্রায় অর্ধেক সংক্রমণের মাত্রা", দাবি কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের

দেশব্যাপী লকডাউনের আগ পর্যন্ত ভারতে দিনপ্রতি সংক্রমণের হার ছিল ৭০-৮০। কিন্তু লকডাউন বাস্তবায়িত হওয়ার একদিনের মধ্যে সংক্রমণের হার প্রায় অর্ধেক

২১ দিন দেশব্যাপী লকডাউন ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

নয়া দিল্লি:

দেশব্যাপী লকডাউনের আগ পর্যন্ত ভারতে দিনপ্রতি সংক্রমণের হার ছিল ৭০-৮০। কিন্তু লকডাউন বাস্তবায়িত হওয়ার একদিনের মধ্যে সংক্রমণের হার প্রায় অর্ধেক (Rate of Covid-19 Cases dip)। বৃহস্পতিবার দাবি করেছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক (Union Health Ministry)। জানা গিয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় মাত্র ৪৩ জন সংক্রমিতের খবর মিলেছে। এই সংখ্যা জুড়লে দেশে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা ৬৪৯। মৃত ১৩। কিন্তু এখনই লকডাউনের বিধিনিষেধ লাঘব করছে না কেন্দ্র । এদিন জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রকের কর্তা লাভ আগরয়াল। তিনি বলেছেন, আমরা হাসপাতালে ও বাড়ির কোয়ারান্টাইন পরিস্থিতির অপর নজর রাখছি। সামাজিক দূরত্ব বজায়ের প্রচার করছি। পাশাপাশি চেষ্টা করছি বাজারে যাতে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের জোগান না কমে। যাতে অযথা ভিড় ও হুড়োহুড়ি এড়ানো যায়। মঙ্গলবার জাতির প্রতি ভাষণে দেশব্যাপী লকডাউনের ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী (PM Modi)। কেন্দ্র লাগু করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা আইন। এই আইনে কেউ লকডাউন বিধি ভাঙলে ভারতীয় দণ্ডবিধির ধারায় তাঁকে অভিযুক্ত করা হবে। 

করোনা পরিস্থিতির সঙ্গে যুঝতে ১ লক্ষ ৭০ হাজার কোটি টাকার ত্রাণ ঘোষণা অর্থমন্ত্রীর

যদিও বৃহস্পতিবার হুয়ের ডিজি টেদ্রস আধানম বলেছেন, লকডাউন এই ভাইরাসের সংক্রমণ কমানোর একমাত্র পন্থা না। দ্বিতীয় বিকল্প হিসেবে একে ব্যবহার করা যেতে পারে। 

এদিকে, বিশ্বব্যাপী একটা রব উঠেছে ভাইরাসের আঁতুড়ঘর চিন। এই অভিযোগের তীব্র নিন্দা করেছে বেজিং। ইচ্ছাকৃতভাবে করোনা ভাইরাস তৈরি করে বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে চিন, এই ধরণের সমস্ত অভিযোগ নস্যাৎ করে দিলেন ভারতে অবস্থিত চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং। "চাইনিজ ভাইরাস" বা "উহান ভাইরাস" এই রকম কিছু নামেও ডাকা হচ্ছে ওই মারণ ভাইরাসটিকে  ।

“প্রথমবার সঠিক অভিমুখে সিদ্ধান্ত”, সরকারকে প্রতিক্রিয়া রাহুল গান্ধির

এই ধরণের সম্বোধনেও তীব্র আপত্তি জানালেন তিনি। ইচ্ছাকৃতভাবেই চিনের সঙ্গে ওই ভাইরাসের যোগ তৈরি করা হচ্ছে বলেই অভিযোগ তাঁর। বেশ ক্ষুব্ধ স্বরেই তিনি বলেন, বিশ্বের উচিত "চিনের মানুষজনকে দোষারোপ" না করে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়তে "দ্রুত ব্যবস্থা" নেওয়া। এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রীতিমতো নিজেদের মধ্যে পারস্পরিক সংযোগ রেখে চলেছে ভারত ও চিন। সেই বিষয়টি তুলে ধরে চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র জি রং বলেন, উভয় দেশই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছে এবং এই কঠিন সময়ে মহামারী মোকাবিলায় একে অপরকে সমর্থন করছে দুই দেশ।

চিনা দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ভারতের তরফ থেকে এই সময় চিনকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়া হয়েছে এবং দুই দেশই এই সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াইয়ের পক্ষে সমর্থন দিয়েছে।

.