সিআইডি জানিয়েছে, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট এখনও হাতে না আসার কারণে চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি তারা
কলকাতা: ভাগাড়ের মাংস-কান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে যে 12 জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তাদের বিরুদ্ধে রাজ্যের সরকারি গোয়েন্দা সংস্থা সিআইডি নব্বই দিন বাদেও চার্জশিট পেশ করতে না পাওয়ায় জামিন মঞ্জুর করে দিল আদালত। এর আগে এই মামলায় আরও দুজন একইভাবে জামিন পেয়ে গিয়েছিল।
“একজন অভিযুক্তের নামেও চার্জশিট ফাইল করা যায়নি এখনও। এমনকি আটক করা মাংসের ফরেনসিক রিপোর্টও এতদিনেও পেশ করা হয়নি আদালতের কাছে। যে কারণে শর্তের বিনিময়ে অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করে দেন বিচারপতি”, আলিপুর আদালতের বাইরে দাঁড়িয়ে সরকারি কৌঁসুলী সাংবাদিকদের এই কথা জানান।
ভাগাড় কান্ডে অন্যতম অভিযুক্ত শরাফত হোসেন এবং প্রাক্তন সিপিআইএম কাউন্সিলর মানিক মুখোপাধ্যায়কেও আজ বাকিদের সঙ্গে জামিন দিয়ে দেওয়া হয়।
সিআইডি জানিয়েছে, বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট এখনও হাতে না আসার কারণে চার্জশিট দাখিল করতে পারেনি তারা।
“ভাগাড় কান্ডে জড়িত দশজনের মধ্যে পাঁচজন, যারা এতদিন জেল হেফাজতে ছিল, তাদের আজ জামিন দিয়ে দেওয়া হল। বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রিপোর্ট এখনও হাতে না আসার কারণে চার্জশিট দাখিল করা সম্ভব হয়নি”, গতকাল সংবাদসংস্থা আইএএনএসকে জানান সিআইডি’র ডেপুটি ইনস্পেকটর জেনারেল নিশাদ পারভেজ।
চলতি বছরের শুরুতে ভাগাড়ের মাংস নিয়ে বিতর্কে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোটা রাজ্য। জানা যায়, ভাগাড় থেকে মৃত ও পচা প্রাণীর মাংস বেশ কয়েক বছর ধরেই রেস্তোরাঁ ও নামী ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের মাধ্যমে মানুষের পাতে রংচঙে মোড়কে উঠে এসেছে। তল্লাশি চালানোর সময় শহরের একটি কোল্ড স্টোরেজ থেকে কয়েক হাজার কিলোর পচা মাংস আটক করা হয়। যা বিভিন্ন বিষাক্ত রাসায়নিকের মাধ্যমে ‘শুদ্ধ’ হয়ে চলে যেত হোটেল-রেস্তোরাঁয়। সেখান থেকে মানুষের পাতে।
এই ঘটনায় ভাগাড় কান্ডের চাঁই নারকেলডাঙা কোল্ড স্টোরেজের মালিক 52 বছরের বিশ্বনাথ গড়াই সহ বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারপরই প্রকাশ্যে এসেছিল একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত মে মাসে এই মামলার দায়িত্ব গ্রহণ করে সিআইডি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)