Read in English
This Article is From Mar 30, 2020

করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসারত ডাক্তারদের ফাইভ স্টার হোটেলে আলাদা রাখার ব্যবস্থা

উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি, দুই রাজ্যেই যে সমস্ত চিকিৎসক এবং নার্সিং স্টাফরা করোনা আক্রান্তদের সেবা করছেন তাঁদের ফাইভ স্টার হোটেলে আলাদা করে রাখার বন্দোবস্ত

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

COVID-19: গোটা দেশে হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত এই মারণ রোগে

Highlights

  • করোনা রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবায় কর্মরতদের হোটেলে থাকার ব্যবস্থা
  • দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ সরকার তাঁদের জন্যে ফাইভ স্টার হোটেল বুক করেছে
  • এর জন্যে সব খরচ বহন করবে ওই দুই রাজ্যের সরকার
নয়া দিল্লি:

দিনরাত এক করে সেবা করছেন তাঁরা, গোটা দেশ যখন ঘরের দরজায় খিল তুলেছে, ঠিক সেই সময় চৌকাঠ পেরিয়ে হাসপাতালে করোনা (COVID-19) আক্রান্তদের চিকিৎসা করছেন তাঁরা। এবার সেই চিকিৎসক ও নার্সিং স্টাফ তথা প্যারামেডিক্যাল কর্মীদের জন্যে পদক্ষেপ করল দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ সরকার। মারাত্মক ছোঁয়াচে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের সঙ্গে সময় কাটাতে কাটাতে অনেক চিকিৎসক নিজেই ওই রোগের শিকার হচ্ছেন। আবার কিছু ক্ষেত্রে সতর্কতা হিসাবেই করোনা আক্রান্তদের (Coronavirus) চিকিৎসারত মেডিকেল কর্মীদের আলাদা করে থাকার পরামর্শ দিচ্ছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে দিল্লি সরকার এবং উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh) সরকার, দুই রাজ্যের তরফ থেকেই চিকিৎসাকর্মীদের ফাইভ স্টার হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করছে। 

রাজ্যে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, মোট ২২ জন ভুগছেন ওই মারণ রোগে

দিল্লির (Delhi) স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছেন, দিল্লির এলএনজেপি এবং জিবি প্যান্ট হাসপাতালের চিকিৎসকদের কয়েক কিমি দূরে 'ললিত' নামের একটি বিলাসবহুল হোটেলে রাখা হবে। আপাতত হোটেলের ১০০ টি ঘর বুক করা হয়েছে এবং দিল্লি সরকার তাঁদের থাকা-খাওয়ার যাবতীয় খরচ দেবে।

এদিকে উত্তরপ্রদেশের সরকারের তরফ থেকে করোনা ভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসা করা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পৃথক করে রাখার জন্যে লখনৌতে চারটি হোটেল ভাড়া নেওয়া হয়েছে। হায়াত রিজেন্সি, ফেয়ারফিল্ড হোটেল, পিক্যাডিলি হোটেল এবং লেমন ট্রি হোটেল বুকিং করা হয়েছে যোগী সরকারের তরফে।

Advertisement

এর আগে করোনা ভাইরাসের রোগীদের চিকিৎসা করায় একদল চিকিৎসককে তাঁদের ভাড়াবাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন বাড়ির মালিক। এই ঘটনা কানে পৌঁছয় স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। গোটা ঘটনায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন । এরপরেই দিল্লি ও উত্তরপ্রদেশ সরকারের তরফ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।

"গো করোনা গো", লকডাউনে ঘরে বসে এই মন্ত্রই জপ করছেন মাননীয় মন্ত্রীমশাই!

Advertisement

করোনা (Coronavirus) সংক্রমণ রুখতে দেশ জুড়ে ২১ দিনের লকডাউন চলছে। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত এই পরিস্থিতি চলবে। প্রধানমন্ত্রী মোদি স্বয়ং দেশবাসীকে হাত জোড় করে এই ক'দিন ঘরে থাকার অনুরোধ করেছেন।

তবে লকডাউন চলার মধ্যেই গোটা দেশে করোনা ভাইরাসের জেরে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২৮ হয়েছে, এদিকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজারেরও উপর ছাড়িয়ে গেছে বলে খবর।

Advertisement