সত্যজিৎ রায়! এই একটা নামেই বাঙালির আবেগ, ভালোবাসা, জ্ঞান এবং সিনেমার সমার্থক বলা যায়। ছবি, ইলাস্ট্রেশন থেকে শুরু করে লেখা, গোয়েন্দা কাহিনি এবং সিনেমা- সত্যজিতের পায়ে পায়ে বাংলা সংস্কৃতি নিজে হাতে নিজের এক মাইলফলক গড়েছে। সত্যজিতের সে সমস্ত অনুরাগীদের জন্য সুখবর! চলচ্চিত্র জগতের এই মানুষটির পাঁচটি অপ্রকাশিত রচনা দিনের আলো দেখতে চলেছে আগামী বছরেই।
মূলত অপ্রকাশিত প্রবন্ধ এবং ইলাস্ট্রেশনই মূলত প্রকাশ্যে আসবে বলে জানিয়েছেন একটি বিখ্যাত প্রকাশনা সংস্থার বরিষ্ঠ কর্মকর্তা। তিনি বলেন, “সত্যজিৎ রায়ের তারিণী খুড়োর অনুবাদ এবং তাঁর অনেকগুলি চিত্রিত কাজ, যা আজ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়নি, সেসবও রয়েছে এর মধ্যে।” তারিণী খুড়ো সত্যজিৎ রায়ের সৃষ্ট একটি কাল্পনিক চরিত্র। এই সমস্ত কাজগুলোই প্রকাশ করবে পেঙ্গুইন র্যান্ডম হাউস ইন্ডিয়া। কর্মকর্তা আরও বলেন, “দ্য পেঙ্গুইন রে লাইব্রেরি সত্যজিতের কাজগুলিকে একদম অনন্যভাবেই প্রকাশ করবে। সত্যজিৎ রায়ের থেকেই অনুপ্রাণিত পরিশীলিত নান্দনিক বিন্যাস এই কাজগুলিকে নয়া মাত্রা দেবে।”
অতুল্য ঘোষের স্মৃতি বিজড়িত আসানসোলের দখল থাকবে কার হাতে?
একজন লেখক হিসাবে, সত্যজিৎ রায় বেশ কয়েকটি কাল্পনিক চরিত্রকে অত্যন্ত জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন। এদের মধ্যে অন্যতম হল গোয়েন্দা চরিত্র ‘ফেলুদা' এবং বিজ্ঞানী চরিত্র ‘প্রফেসর শঙ্কু'। ৩২ টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন সত্যজিৎ রায়, এছাড়াও বহু অন্যান্য আন্তর্জাতিক সম্মান। এরই মধ্যে রয়েছে ১৯৯২ সালে পাওয়া অস্কার সম্মানও। সারা জীবনে লিখেছেন বহু ছোট গল্প এবং উপন্যাস।
‘আমার অনুরোধ, কানহাইয়াকে ভোট দিন' কানহাইয়ার সমর্থনে ফের এক বলিউড তারকা
অধ্যাপক ও নিবিড় পাঠক নৈঋতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি সত্যিই ২০২০ সালের জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছি না। পথের পাঁচালি দেখার পরেই আমি বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল উপন্যাস পড়ার নেশাটা পেয়েছিলাম। আসলে, শুধু আমাকেই নয়, সত্যজিতের বেশিরভাগ সিনেমাই মানুষকে সাহিত্যমুখী করেছে। সাহিত্যকে এভাবে সিনেমায় প্রদর্শন সত্যজিতের কাছে হাঁটু মুড়ে শেখার।”
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)