পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে 13400 কোটি টাকার জালিয়াতি করে দেশ ছেড়ে পালান নীরব মোদি
হাইলাইটস
- ওই 50 জনের 2014-15 সালের আর্থিক বর্ষে আয়কর রিটার্ন নজরের আওতায়
- অসংলগ্নতা পাওয়া গেলে কর ফাঁকির মামলা করা হবেঃ আয়কর বিভাগ
- নগদ ও চেক বা কার্ডে লেনদেন করত নীরব মোদির সংস্থাগুলি
নিউ দিল্লি: আয়কর বিভাগ সিদ্ধান্ত নিল, পলাতক অলঙ্কার ব্যবসায়ী নীরব মোদির সংস্থাগুলির থেকে যে 50 জন ধনী ও প্রভাবশালী ভারতীয় গয়না কিনেছিলেন, তাঁদের আয়কর রিটার্নের পুনর্মূল্যায়ন করা হবে।
তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আয়কর বিভাগের কর্মীরা বেশ কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির ওপর নজর রাখার ব্যাপারে পদক্ষেপ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন। তাঁদের কাছে আয়কর বিভাগ থেকে নোটিস পাঠিয়ে এই গয়না কেনার অর্থের উৎস জানতে চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে কোনওভাবে যে নীরব মোদির সংস্থার নগদ লেনদেনের সম্পর্ক ছিল কখনও, তা তাঁরা মানতে প্রত্যেকেই অস্বীকার করেছিলেন।
আয়কর বিভাগের কর্মীরা জানিয়েছেন, তাঁরা যে নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন, তাতে এই ব্যাপারটি স্পষ্ট যে, এই ক্রেতারা হিরের অলঙ্কার কেনার সময় পুরো টাকা ভেঙে ভেঙে দিয়েছিলেন। কিছুটা চেক ও কার্ডের মাধ্যমে এবং বাকিটা নগদে।
আয়কর বিভাগের নোটিসের জবাবে তাঁরা প্রত্যেকেই বলেন যে, তাঁদের সঙ্গে ওই সংস্থার নগদ লেনদেনের সম্পর্ক ছিলই না কখনও। কিন্তু নীরব মোদির সংস্থা থেকে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখতে আয়কর বিভাগের কর্মীরা বুঝতে পারছেন যে, তাঁদের বিবৃতিতে সম্পূর্ণ সত্যটি নেই।
সংস্থার হিসাবপত্রের নথি পরীক্ষা করে আয়কর বিভাগের কর্মীরা জানতে পেরেছেন, সমস্ত অর্থে লেনদেনই নগদ এবং চেক অথবা কার্ডের মাধ্যমে হত। যে কারণে, 2014-15 আর্থিক বর্ষে ওই 50 জন ব্যক্তির আয়কর রিটার্নের পরিমাণও নতুন করে পর্যালোচনা করতে চলেছে আয়কর বিভাগ।
তাঁরা জানিয়েছেন, এই কয়েক লক্ষ টাকার গোপন লেনদেনের মধ্যে কোনওরকম অসংলগ্নতার প্রমাণ যদি পাওয়া যায়, তাহলে কর ফাঁকি দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এরকম আরও কিছু ঘটনাও তাঁদের অনুসন্ধানের আওতায় রয়েছে বলে জানিয়েছে আয়কর বিভাগ।
.
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)