আইআইটি-মাদ্রাজের ৯২৪ জন ২৫২টি সংস্থায় নিয়োগপত্র পেয়েছিলেন।
আশঙ্কা ছিল সংক্রমণে (Coronavirus Cases) প্রভাবিত হবে বিশ্ব অর্থনীতি। কর্মহীন হবে লক্ষাধিক মানুষ। আইআইটি-মাদ্রাজের (IIT-Madras) ৬ ছাত্রের কাছে সেই আশঙ্কাই সত্যি হল। সেই ছয় জনের নিয়োগ নিশ্চিত করেও, পরে তা খারিজ করা হল। ফলে উদ্বেগ বেড়েছে দেশের অন্যতম প্রথমসারির এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্দরে। নিয়োগ খারিজের নেপথ্যে সংক্রমণের মাত্রাকে যুক্তি হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে। যদিও, আইআইটি- মাদ্রাজ সূত্রে খবর বিদেশে চাকরির নিয়োগে কোনও প্রভাব পড়েনি। জানা গিয়েছে, আইআইটি-মাদ্রাজ ক্যাম্পাস থেকে ৯২৪ জন পড়ুয়ার চাকরি নিশ্চিত হয়েছে। ২৫২টি সংস্থা তাঁদের নিয়োগ করেছে। চলতি শিক্ষাবর্ষে আরও ৩০০ পড়ুয়ার নিয়োগ নিশ্চিত হবে। গত বছর ৯৩২ জনের নিয়োগ নিশ্চিত করা হয়েছিল। ৮ জন কর্মহীন ছিলেন।
জলবায়ু পরিবর্তন বৃহত্তম বিপদ: বিশ্ব পৃথিবী দিবসে মুখ্যমন্ত্রী
তবে, বিদেশে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও প্রভাব ফেলেনি এই সংক্রমণ। রীতিমতো বিবৃতি জারি করে বলেছে আইআইটি-মাদ্রাজ। এখনও পর্যন্ত ৩৪ জন পড়ুয়া বিদেশে তাঁদের চাকরি নিশ্চিত করেছেন। দাবি করা হয়েছে সেই বিবৃতিতে। সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক সিএস শঙ্কর রাম বলেছেন, "বেতন কাঠামোয় কোনও পরিবর্তন হয়নি। শুধু কিছু সংস্থা নিয়োগের দিন এগিয়ে দিয়েছে।" আইআইটি-বম্বে জানিয়েছে, তাদের কোনও নিয়োগ খারিজ হয়নি। শুধু স্থগিত হয়েছে প্রক্রিয়া। .
এদিকে, বুধবার দেশে করোনা ভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা ১,৪৮৬ জন, ফলে দেশে ভাইরাসের কবলে ২০,৪৭১ জন। গত ২৪ ঘন্টায় মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪৯ জন, কেন্দ্রীয় ,স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি ৬৫২ জন। সোমবার ভারতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাছিল ১,৫৪০ জন, সেই সময় আরোগ্যপ্রাপ্তদের সংখ্যাও বেড়েছিল বলে জানিয়েছিল সরকার। এদিন সকাল পর্যন্ত আরোগ্যপ্রাপ্তদের হার ১৯.৩৬ শতাংশ, একদিনে আরোগ্যপ্রাপ্তের সংখ্যা ৬১৮ জন। করোনা ভাইরাস সংক্রমিতের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে, সরকারি স্বাস্থ্য আধিকারিকরা জানিয়েছেন, ২৫ মার্চ শুরু করে এবং পরে ৩ মে পর্যন্ত লকডাউন বাড়ানোর ফলে, ভারতে সংক্রমণ ছড়ানোর হার কমেছে।
লকডাউনে বন্ধ স্কুল-কলেজ! বাড়বে ছাত্রীদের মধ্যে স্কুলছুটের সংখ্যা: ইউনেস্কো
সোমবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের যুগ্ম সচিব লাভ আগরওয়াল বলেন, “দ্বিগুণ সংক্রমণের সংখ্যা দিন বেড়ে হয়েছে ৭.৫, আগে অর্থাৎ লডাউনের আগে ছিল ৩.৪ দিন”। এটি “খুবই ইতিবাচক দিক” বলেও মন্তব্য করেন তিনি।