ছ’জনকে মালির কাজ করান হবে বলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল
হাইলাইটস
- নদীয়া জেলার ৬ ব্যক্তি মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন কাজের খোঁজে
- পরিবারের দাবি, যিনি কাজের রেখেছেন তিনি তাদের পাসপোর্ট কেড়ে নিয়েছেন
- পরিবার থেকে প্রশাসনের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য
কৃষ্ণনগর: পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ৬ ব্যক্তি মালয়েশিয়া গিয়েছিলেন কাজের খোঁজে। বৃহস্পতিবার তাদের পরিবার দাবি করল, ওই ব্যক্তিদের যিনি কাজের রেখেছেন তিনি তাদের পাসপোর্ট কেড়ে নিয়েছেন। পরিবার থেকে প্রশাসনের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে, তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য।
নদীয়া জেলার ম্যাজিস্ট্রেট সুমিত গুপ্ত বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
প্রভিডেন্ট ফান্ডের সুদের হার বেড়ে হল ৮.৬৫ শতাংশ
মাসে ১ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা মাইনের বিনিময়ে অরবিন্দ মণ্ডল, বিশ্বজিৎ হালদার এবং আরও চার মুড়াগাছা কলোনির বাসিন্দা চড়া সুদের বিনিময়ে গত বছর নভেম্বরে ১২ তারিখ নাগাদ ঋণ নেন। সেই টাকা দুই এজেন্টকে দিয়ে মালয়েশিয়ার জন্য তারা রওনা হন বলে হাঁসখালি পুলিশ স্টেশনের তরফে জানানো হয়েছে।
তাদের বলা হয়েছিল ফল প্যাকেটজাত করার কাজ এবং মালি হিসেবে কাজ করতে হবে। কিন্তু আদতে তাদের এখন প্রবল ভারি কৃষি সার বহন করতে হচ্ছে। পরিবার আরো জানিয়েছে, তাদের পাসপোর্ট কেড়ে নেওয়া হয়েছে, বাড়িতে যোগাযোগ করতে দেওয়া হচ্ছে না।
জঙ্গি হানার পর গোটা দেশ যখন শোকস্তব্ধ তখন তথ্যচিত্রের শ্যুটিং করছিলেন মোদীঃ কংগ্রেস
অরবিন্দ মণ্ডলের স্ত্রী নমিতা বলেন, ‘‘সম্প্রতি আমার স্বামী একটা সুযোগ পেয়ে আমার ফোন করেন। জানান, তাদের নিয়মিত মারধর করা হয়। ঠিকমতো খেতে দেওয়া হয় না। আমি সরকারের কাছে আবেদন জানাচ্ছি ওদের ফিরিয়ে আনা হোক।''
বিশ্বজিৎ হালদারের মা মমতা বলেন, ‘‘আমরা বাজার থেকে ঋণ নিয়েছিলাম পাঁচ শতাংশ মাসিক সুদের বিনিময়ে। এজেন্ট আমাদের বলেছিল বিশ্বজিৎ ওখানে দু'বছর কাজ করতে পারবে। অথচ এখন ওদের খাবার দেওয়া হচ্ছে না। একটা ছোট ঘরে দাসদের মতো বন্দি করে রাখা হচ্ছে।''
নমিতা বলেন, ‘‘স্বামীর ফোন পেয়ে পরিবারের কথা শুনে এজেন্টের সঙ্গে দেখা করতে যাই। তিনি বলেছিলেন ওদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করবেন। কিন্তু এখন উল্টে তারই আর কোন খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।''