This Article is From Jan 04, 2019

ছ’টি মিসড কলের জেরে ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ১.৮৬ কোটি টাকা

তার অ্যাকাউন্ট থেকে ২৮টি ট্রান্সাকশন করা হয়েছে। কিন্তু সিম কার্ড ব্লক থাকায় তিনি জানতেও পারেননি।

ছ’টি মিসড কলের জেরে ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্ট থেকে উধাও ১.৮৬ কোটি টাকা

দু’ঘণ্টায় ব্যবসায়ীর ফোনে ৬টি মিসড কল আসে

হাইলাইটস

  • সিম কার্ড সোয়াপিংয়ের মাধ্যমে প্রতারণার ঘটনা ঘটল
  • ব্যবসায়ী বলেছেন তিনি ছ’টি মিসড কল পেয়েছেন
  • সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে
মুম্বই:

সিম কার্ড সোয়াপিংয়ের একটি ঘটনার জেরে মুম্বইয়ের এক বস্ত্র ব্যবসায়ীর অ্যাকাউন্ট থেকে ১.৮৬ কোটি টাকা খোয়া গেল। মুম্বই পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখায় এ নিয়ে অভিযোগ দায়ের হয়েছে।

তবে ওই ব্যবসায়ীর পরিচিতি প্রকাশ করা হয়নি। তিনি জানিয়েছেন, ডিসেম্বরের ২৭ ও ২৮ তারিখে তার মোবাইলে ছ'টি মিসড কল আসে দুপুর ১১.৪৪ থেকে রাত ১.৫৮-র মধ্যে। তারপরেই এই প্রতারণার ঘটনা ঘটে। সাইবার অফিসারেরা একে ‘সিম সোয়াপ' বলছেন। এই পদ্ধতিতে অপরাধীরা তথ্যের অধিকার পেয়ে ওটিপি ব্যবহার করে টাকা ট্রান্সফার করে নেয়। আগে প্রতারকেরা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিশদ, ক্রেডিট কার্ড নম্বর ও অন্য ব্যক্তিগত তথ্য জেনে প্রতারণা করত। তার তুলনায় সিম সোয়াপ নতুন পদ্ধতি।

বিরল ‘সুপার ব্লাড মুন' দেখা যাবে জানুয়ারিতে

ব্যবসায়ী বলেন, ছ'টি মিসড কল দেখে তার সংশয় হয়। তার মধ্যে দু'টো ছিল লন্ডনের নম্বর। ইতিমধ্যে তার ফোন কাজ করা বন্ধ করে দেওয়ায় তিনি সার্ভিস প্রোভআইডারের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তাকে জানানো হয় গত রাতে তারই অনুরোধে সিম কার্ডটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ‘‘বলা হয় আমি নাকি ২৭ ডিসেম্বর রাত ১১.১৫ নাগাদ ফোন করে সিম কার্ড ব্লক করেছি। তারপরে সার্ভিস প্রোভাইডারের তরফে নতুন সিম কার্ড ইস্যু করা হয়েছে। সেটা ২৯ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় চালুও করা হয়েছে।''—বলেন ওই ব্যবসায়ী।

চিটফান্ড কান্ডে গ্রেফতার সুমন: যথার্থ তদন্তের দাবি জানাল এডিটার্স গিল্ড

তার অ্যাকাউন্ট থেকে ২৮টি ট্রান্সাকশন করা হয়েছে। কিন্তু সিম কার্ড ব্লক থাকায় তিনি জানতেও পারেননি।

পরে তার এক কর্মচারী একটি ফান্ড ট্রান্সফারের জন্য ব্যঙ্কে গেলে তিনি জানতে পারেন তাকে প্রতারণা করা হয়েছে। ‘‘অ্যাকাউন্ট চেক করে জানতে পার ওই টাকা প্রায় ১৫ টি ভিন্ন অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে। এর কোনওটাই আমরা করিনি। আর আমরা নিয়মিত যে সব অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাই সেখানেও টাকাটা যায়নি।''—বলেন তিনি।

পুলিশের ডেপুটি কমিশনার আকবর পাঠান বলেন, ‘‘আমরা ১.৮৬ কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগ পেয়েছি। অপরাধীরা ওই ব্যক্তির ফোন নম্বর ও ব্যাঙ্কের তথ্য হাতিয়েছিল। মানুষের কাছে অনুরোধ যদি বিনা কারণে আপনার ফোন বন্ধ হয়ে যায় দ্রুত তা পুনরায় চালু করুন প্রয়োজনে পুলিশকে জানান।''

আরও খবর দেখুন এখানে

.