JNU: পড়ুয়ারা দাবি করেছেন পুলিশ তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন
নয়া দিল্লি: অস্বাভাবিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন বৃদ্ধি (JNU fee hike) হওয়ায় ফের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে দিল্লির (Delhi) জেএনইউ বিশ্ববিদ্যালয়। ঘটনার পর অশান্তি এড়াতে বিশ্ববিদ্যালয়ে মোতায়েন করা হয়েছে ৬০০-রও বেশি পুলিশ। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) পড়ুয়াদের উপর লাঠিচার্জ করার অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠান চলাকালীনই কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ককেও ঘেরাও করে সোমবার বিক্ষোভ দেখান হাজার হাজার জেএনইউ পড়ুয়া, অভিযোগ তারপরেই পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে তাঁদের। জানা গেছে সেই সময়েই দিল্লির ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন উপরাষ্ট্রপতি ভেঙ্কাইয়া নাইডুও। জেএনইউয়ের পড়ুয়া তথা আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন যে, পুলিশ তাঁদের উপর লাঠিচার্জ করায় তাঁদের মধ্যে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। যদিও দিল্লি পুলিশের তরফ থেকে ওই অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয় যে, তাঁরা সঙ্গে অস্ত্র থাকা তো দূর অস্ত, লাঠি পর্যন্ত নিয়ে যাননি ছাত্র আন্দোলন থামাতে।
"আমরা লাঠিও নিয়ে যাইনি। তবে বিক্ষোভকারীদের শান্ত করতে হালকা বলপ্রয়োগ করতে হয়েছিল আমাদের কিন্তু শিক্ষার্থীদের উপর কখনোই লাঠিচার্জ করা হয়নি। বরং আমাদেরই অনেক পুলিশ এবং মহিলা পুলিশ কর্মী আহত হয়েছিলেন। কিন্তু আমরা সেই ঘটনাগুলিকে তুলে ধরতে চাই না। তবে হ্যাঁ, শিক্ষার্থীদের মধ্যে হওয়া ধাক্কাধাক্কি নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে আমাদের এক মহিলা কর্মীকে কিছুটা বলপ্রয়োগ করতে হয়েছিল", বলেন এক পুলিশ আধিকারিক।
বেতন একলাফে ৩০০%! সমাবর্তন দিবসেই পুলিশ-ছাত্র সংঘর্ষ JNU-তে
আড়াই হাজার থেকে সাত হাজার টাকা--একলাফে প্রায় ৩০০ শতাংশ বাড়ানো হয় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন। তারই প্রতিবাদে সোমবার সমাবর্তন দিবসে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্র। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে চলে আসে প্রশাসন। সমাবর্তন উৎসবে যাতে বিঘ্ন না ঘটে তার জন্য ব্যারিকেড করে ছাত্রদের আটকানোর চেষ্টা করলে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে শিক্ষার্থীদের। জানা গেছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সমাবর্তন স্থল থেকে ৮০০ কিমি দূরে তাঁদের আটকে দেয় প্রশাসন।
বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে জল কামানও ব্যবহার করা হয় এবং কিছু শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উপস্থিত হন দিল্লি পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরও। যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (নয়া দিল্লি) আনন্দ মোহন সহ সেখানে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (দক্ষিণ-পশ্চিম) দেবেন্দ্র আর্যও।
JNU নিয়ে ক্ষোভ, ঐতিহাসিক রোমিলা থাপারের কাছে নতুন করে সিভি চাইল কর্তৃপক্ষ!
ঘটনার বিষয়ে দেবেন্দ্র আর্য বলেন, "পুলিশ কোনও প্রকার বলপ্রয়োগ করেনি বরং অনেকটাই সংযম দেখিয়েছে। সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করার জন্য আমরা প্রশাসন ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রেখে চলেছি। এমনকি আমরা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সহযোগিতাও করেছিলাম যাতে তাঁরা কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ককে তাদের দাবিদাওয়া সম্বলিত স্মারকলিপি জমা দিতে পারেন।"