தமிழில் படிக்க हिंदी में पढ़ें Read in English
This Article is From Aug 23, 2019

১৯ বছর ধরে Public Toilet-এ দিনযাপন মাদুরাইয়ের বছর ৬৫-র বৃদ্ধার

শৌচালয় নিয়মিত পরিষ্কারের কাজ করে দিনে ৭০ থেকে ৮০ টাকা রোজগার করেন বৃদ্ধা।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Posted by

মাদুরাইয়ের public toilet-এ গত দু'দশক ধরে বসবাস বৃদ্ধা কারুপ্পায়ীর

পথের ধারে শৌচাগার (public toilet)। হাজারো মানুষের নিত্য আনাগোনা। সেই শোচাগারের মধ্যেই দিন গুজরান বছর ৬৫-র এক বৃদ্ধার। মাস কয়েক বা বছর খানেক নয়। তামিলনাড়ুর মাদুরাইয়ের (Madurai) রামনাদে (Ramnad) গত প্রায় দু'দশক ধরে শৌচাগারেই থাকেন কারুপ্পায়ী (Karuppayi)। কন্যা সন্তান থাকলেও সে দেখভাল করে না। তাই মাথা গোঁজার ঠাঁই হিসাবেই সেখানে থাকতে শুরু করেন বৃদ্ধা। দুরাবস্থা দেখে গত ২০ বছর বহু মানুষ কারুপ্পায়ীকে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়েছেন। কিন্তু, বাড়ে বাড়েই তা নাকচ করেছেন ওই বৃদ্ধা। কী কারণে তাঁর এই অনড় মনোভাব? সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মধ্য ষাটের বৃদ্ধা কারুপ্পায়ী জানিয়েছেন, ওই শৌচাগার পরিষ্কার করে প্রাপ্ত অর্থই তাঁর এক মাত্র রোজগারের পথ। দিনে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ টাকা উপার্জন করেন তিনি। অন্যস্থানে গেলে রয়েছে অনিশ্চয়তা। তাই মন্দের ভালো রামনাদ এলাকার এই শৌচাগারে বসবাস।  

লোকের সাহায্য তো নেননি কারুপ্পায়ী (Karuppayi)। কিন্তু, এত বছরে কারোর কাছে আশ্রয়ের জন্য কী একবারও আবেদন করেছিলেন তিনি? প্রশ্ন শুনতেই কঠিন হল বৃদ্ধার চোয়াল। সরু চড়িয়ে বললেন, ‘অবসরকালীন ভাতার (senior citizen pension) জন্য আবেদন করেছিলাম। হয়নি। পরে জেলা শাসকের দফতরে বেশ কয়েকবার জানিয়েছিলাম আমার অবস্থার কথা। কিন্তু তারপর আর কিছুই এগোয়নি।'

শৌচাগারের মধ্যেই একচিলতে জায়গা। সেখানেই থাকেন কারুপ্পায়ী। রয়েছে তাঁর প্রয়োজনীয় বাসন থেকে শাড়ি, বিছানা সবই। দেখলে অবাক হতে হয়। বৃদ্ধার আশ্রয়ের ছবি অনলাইনে দিতেই তা ছড়িয়ে পড়ে। বহু মানুষ, স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা যা দেখে বৃদ্ধাকে সাহায্য করতে এগিয়েও এসেছিলেন। তবে, তাঁর ওই এক গোঁ।

অনেকেই আবার, কারুপ্পায়ীর কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাতে গিয়ে সরকারি আধিকারিকদের ট্যাগ করেছেন।

Advertisement