তিনি বলেন, "আমি এই মুহূর্তে সত্তর ছুঁইছুঁই। কিন্তু নিজের বয়সের থেকে মানসিকভাবে আমি অনেক তরুণ।"
দ্য হাগ, নেদারল্যান্ড: 'শরীর শরীর, তোমার মন নাই কুসুম?', মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'পুতুল নাচের ইতিকথা'য় শশী এমনটাই জানতে চেয়েছিল কুসুমের কাছে। শরীরের বয়স বাড়লেও, মনের বয়স বাড়ে না! চির রোম্যান্টিক মানুষদের ক্ষেত্রে এমন বর্ণনাই চিরকাল দিয়ে এসেছে সাহিত্য ও সমাজ। কিন্তু, শরীরটাই যদি না থাকে, তাহলে মনটা আর কোন কাজে লাগবে?! বস্তুবাদীরা এমন কথাও বলে থাকেন হামেশাই। সেই কারণেই এত অ্যান্টি-এজিং ক্রিম অথবা পেকে যাওয়া চুলকে কালো করার প্রসাধনদ্রব্যের এত রমরমা বাজারে। কে হায় বার্ধক্য চায়! হল্যান্ডের এমিল র্যাটেলব্যান্ডও ব্যতিক্রম নন। নিজের ৭০-তম জন্মদিনের কয়েকমাস আগে তিনি এক অভিনব আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চলেছেন। যার ফলে, তাঁর আসল জন্মসাল ১৯৪৯ থেকে ২০ বছর পিছিয়ে হয়ে যাবে ১৯৬৯ সালের ১১ মার্চ।
এর মূল কারণ একটাই। তিনি প্রেম করতে চান। এবং, তা করতে চান অল্পবয়সী তরুণীদের সঙ্গে৷ বৃহস্পতিবার সংবাদসংস্থা এএফপি'র মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, "আমি এই মুহূর্তে সত্তর ছুঁইছুঁই। কিন্তু নিজের বয়সের থেকে মানসিকভাবে আমি অনেক তরুণ। একদম যুবকও বলা যায়। যে যে তরুণীকে আমি প্রার্থনা করি, তাদের সবাইকেই কাছে পেতে চাই। কিন্তু আমি যদি তাদের বলি যে আমার বয়স ৬৯, তাহলে তো তারা আর আমার কাছে আসবে না!" অকপট স্বীকারোক্তি বৃদ্ধর।
"আমি এখনও যথেষ্ট তরতাজা। শরীর স্বাস্থ্যও দারুণ অবস্থায় রয়েছে। কিন্তু আমার নিজেকে খারাপ লাগে নিজের এই বয়সটার দিকে তাকালে। আমি তাই ওটা কুড়ি বছর কমিয়ে ফেলতে চাই", বলেন এমিল।