Read in English
This Article is From Jun 24, 2019

দেবেন্দ্র ফড়নবিশের বাংলো, ১৮ জন মন্ত্রীর লক্ষাধিক টাকার জলের বিল বাকি

একটি আরটিআইয়ের উত্তরে জানা গেছে, মুখ্যমন্ত্রী বাদে মহারাষ্ট্রের ১৮ জন মন্ত্রীর জলের বিল বাকি

Advertisement
অল ইন্ডিয়া

কেয়া বিল না মেটানোর তালিকায় মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার মোট ১৮ জন মন্ত্রীর নাম রয়েছে।

মুম্বই:

মহারাষ্ট্র মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের (Devendra Fadnavis) বাংলো ‘ভরসা'-য় বাকি লক্ষ লক্ষ টাকার জলের বিল( Water Bills), জানাল বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশন।মহারাষ্ট্র মুখ্যমন্ত্রীর ওই বাংলোতে মোট ৬টি জলের লাইন রয়েছে, ডিসেম্বর ১০১৬, সেপ্টেম্বর ২০১৮ এবং অক্টোবর ২০১৮-তে ওই জলের লাইনগুলির বকেয়া বিলের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ লক্ষ ৪৪ হাজার ৮৯১ টাকা।এ বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে যে ২০১৮-র নভেম্বর থেকে ২০১৯-র মে মাস পর্যন্ত জলের বিলে(Water Bills) বড়সড় পার্থক্য দেখা যাওয়ায় বিষয়টি পিডব্লিউডিকে বলা হয়েছে এবং তাঁরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।“ভরসা ও অন্যান্য মন্ত্রীদের বাংলোর জলের বিল ২০১৮-র নভেম্বর পর্যন্ত মেটানো আছে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা যায় ২০১৮-র নভেম্বর থেকে ২০১৯-এর মে পর্যন্ত যে বিল(Water bill)  এসেছে তাতে টাকার অঙ্কে বিস্তর ফারাক রয়েছে।ফলে বিষয়টি পিডব্লুডিকে জানানো হয়। বর্তমানে ওই বিল খতিয়ে দেখছে পিডব্লুডি।ওই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বিল মিটিয়ে দেওয়া হবে”, বলা হয়েছে সরকারি বিবৃতিতে।

সম্প্রতি এ বিষয়টি তথ্য জানার অধিকার আইনের মাধ্যমে এ বিষয়ে জানতে চান সমাজকর্মী শাকিল আহমেদ। ওই আরটিআইয়েই জানা যায় বিল না মেটানোর তালিকায় রয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশের মন্ত্রিসভার দুই সদস্য অর্থমন্ত্রী সুধীর মুনগানতিওয়ার এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডেও। ওই দুই মন্ত্রীর বাড়িতেই ৩টি করে জলের লাইন রয়েছে এবং সেই জলের লাইনের(Water Bills) গত বছরের সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবর মাসের বকেয়া বিলের পরিমাণ ৩ লক্ষ ৭৩ হাজার ৮২৯ টাকা।শুধু ওই দুজনই নন, বকেয়া বিল না মেটানোর তালিকায় মহারাষ্ট্র মন্ত্রিসভার মোট ১৮ জন মন্ত্রীর নাম রয়েছে, তবে মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের (Devendra Fadnavis)  নাম ওই তালিকায় নেই বলে জানা গেছে।

Advertisement

সম্প্রতি একটি খবর সামনে আসে যে, মহারাষ্ট্র(Maharashtra) গত ৫ বছরের মধ্যে ৪ বার খরার কবলে পড়েছে, কেননা সেখানকার শহর ও গ্রামগুলিতে জল সরবরাহের অভাব।যদিও মহারাষ্ট্র সরকারের পক্ষ থেকে ‘জলযুক্ত শিভার অভিযান' করার ফলে কিছু কিছু স্থানের জল সরবরাহ ব্যবস্থার উন্নতি হয়েছে।

তবে বারবার মহারাষ্ট্রে খরার (drought) প্রকোপ দেখা যাওয়ায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সে রাজ্যের কৃষিব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত মানুষজন।একটি পরিসংখ্যান বলছে, গত জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে সে রাজ্যে ৬১০ জন কৃষক আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে বাধ্য হয়েছেন।

Advertisement

যদিও মহারাষ্ট্র সরকারের (Maharashtra Govt)পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, ‘জলযুক্ত শিভার'-র জন্যে তাংরা ৮হাজার ৯৪৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে এবং এমন প্রায় ১৮ হাজার ৬৪৯টি গ্রামে এই কাজ সম্পন্ন হয়েছে যাদের জলস্তর ৬.১১ শতাংশে নেমে গিয়েছে।

এই বছরই মহারাষ্ট্রে( Maharashtra) বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, খরা এবং রাজ্যের জল সমস্যাকেই হাতিয়ার করে বিরোধীরা এখানে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকারের (BJP-led coalition government) বিরুদ্ধে প্রচার চালাবে।

Advertisement

Advertisement