This Article is From Jun 20, 2019

ঊষসী সেনগুপ্তের হেনস্থায় গ্রেফতার সাত; নিন্দার ঝড় রাজনৈতিক মহলে

ঊষসী সেনগুপ্ত হেনস্থা কাণ্ডে অভিযুক্ত সাতজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুদিনের জন্য সাতজনকেই আপাতত জেলে রাখা হয়েছে।

ঊষসী সেনগুপ্তের হেনস্থায় গ্রেফতার সাত; নিন্দার ঝড় রাজনৈতিক মহলে
কলকাতা:

ঊষসী সেনগুপ্ত (Ushoshi Sengupta) হেনস্থা কাণ্ডে অভিযুক্ত সাতজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুদিনের জন্য সাতজনকেই আপাতত জেলে রাখা হয়েছে। আদালতে তোলার পর জানা যাবে কী হবে পরবর্তী পদক্ষেপ। প্রসঙ্গত, গত সোমবার রাতে বাড়ি ফেরার সময় একদল যুবক ধাওয়া করে তাঁর উববেরকে। ময়দানের সামনে জোর করে গাড়ি থামিয়ে চালককে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ঘটনার ভিডিও তুললে প্রাক্তন ভারতসুন্দরীকেও হেনস্থা করে তারা। গাড়ি ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি ঊষসীর মোবাইল কেড়ে ভিডিওটি নষ্ট করার চেষ্টাও করা হয় বলে অভিযোগ। গতকাল দিনভর লজ্জাজনক ঘটনাটি নিয়ে তোলপাড়ের পর সরিয়ে দেওয়া হয় দক্ষিণ কলকাতার এক সাব ইন্সপেক্টরকে (sub-inspector)। একই সঙ্গে শো-কজ নোটিশ ধরানো হল ওই রাতে ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত দুই পুলিশ অফিসারকে (two other policemen)।  এঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, বারংবার অনুরোধ করার পরেও এঁরা নাকি নিগৃহীত চালকের এফআইআর নিতে রাজি হননি।

‘‘উবের চালকের পাশে দাঁড়াতেই হত'': প্রাক্তন মিস ইন্ডিয়া উষশী সেনগুপ্ত

মডেল-অভিনেতা ঊষসীর অভিযোগ, সোমবার মধ্যরাতে বন্ধুকে নিয়ে উবেরে করা বাড়ি ফেরার সময় একদল যুবক বাইকে চেপে পিছু ধাওয়া করে তাঁদের। কলকাতার মধ্যস্থল ময়দানের কাছে উবেরটিকে থামায় তারা। তারপরেই চালককে মারধর করতে থাকে বিনা কারণেই। গোটা ঘটনার ভিডিও তোলার পর রাত ২.৩০ টে নাগাদ ঊষসী এফআইআর দায়ের করতে যান চারু মার্কেট থানায়। অভিযোগ, সেখানে আক্রান্ত চালকের বয়ান নিতে চাননি সেখানকার কর্তব্যরত পুলিশ। যদিও প্রশাসনের দাবি, পরে পুলিশ প্রধানের নির্দেশে তাঁরা চালকের এফআইআর নিয়ে তদন্ত শুরু করেন।

সাতজনকে গ্রেফতারের প্রসঙ্গে কলকাতার সহ নগরপাল মিরাজ খালিদ জানিয়েছেন, আগামী ২১ জুন পর্যন্ত অভিযুক্তদের জেলে রাখা হবে। পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে শনাক্ত করার চেষ্টা করছে বাকিদেরও। ইতিমধ্যেই আমরা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করার অনুমতি চেয়ে আদালতে আবেদন জানিয়েছি।

ফোর্ট উইলিয়ামে সেনাকর্মীর হাতেই ধর্ষিতা সহকর্মীর নাবালিকা সন্তান; অভিযুক্তকে গ্রেফতার

সেই রাতেই ঊষসী পুরো ঘটনা এবং ভিডিও আপলোড করেন ফেসবুকে। জানান, উবের চালক নিগৃহীত হোয়ার সময় তিনি ভিডিও করতে করতে স্থানীয় কর্তব্যরত পুলিশকে ডাকেন। সাহায্য করার বদলে তিনি অন্য থানায় যওয়ার পরমার্শ দেন। কারণ তাঁর যুক্তি, পুরো ঘটনাই ঘটেছে অন্য জুরিডিকশনে। এমনকি ঘটনাস্থল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থানা অবস্থিত হলেও দিব্যি দাপিয়ে দৌরাত্ম্যের সাহস দেখাতে পেরেছে দুষ্কৃতীরা।  

অবশেষে ভবানীপুর থানার দুই পুলিশ অফিসার এসে অভিযোগ নেন। ততক্ষণে রাত গভীর। জানিয়েছেন উষসী।

ঘটনার পর থেকেই আতঙ্কে দিন কাটছে ঊষসীর। একই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, এ কোন কলকাতা? জন্মে থেকে দেখে আসা এই শহর কখন এতটা বদলে গেল! বুঝতেই পারলাম না। ময়দানের ঘটনার পরেও তিনটি বাইকে করে মোট ছয় যুবক সমানে পিছু ধাওয়া করে আমাদের। লেক গার্ডেনের সরকারি আবাসনে সহকর্মীকে নামিয়ে দেওয়ার পরেই ওরা আমায় ঘিরে ধরে। গাড়ি থেকে টেনে নামায়। ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে মোবাইল। অন্য শহরের মতোই আনাদের শহরও কি রাতে আর শহরবাসীদের জন্য নিরাপদ নয়? কে উত্তর দেবে!

ঘটনা জানাজানি হতেই সমালোচনার ঝড় বয়েছে রাজনৈতিক মহলে। প্রশাসনের গাফিলতিতে সরব হয়েছেন সমস্ত দল। ঘটনায় লজ্জা প্রকাশ করেছেন শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীরাও।

.