পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) জলপাইগুড়ি জেলায় ফের বিজেপি-তৃণমূল সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তপ্ত গোটা এলাকা। বিজেপি সমর্থকদের অভিযোগ, তাঁদের ৭টি বাড়ি ভাঙচুর করে তাতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থনে যান দমকলকর্মীরা, সেখানে গিয়ে আগুন নেভান তাঁরা। এই ঘটনা প্রসঙ্গে একজন উর্ধ্বতন পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, রবিবার স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার মরদেহ ময়নগুড়ি এলাকার (Jalpaiguri) হুসলুড়ডাঙ্গা গ্রামে পৌঁছনোর পরেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে, ছড়িয়ে পড়ে রাজনৈতিক হিংসা। তাঁদের কর্মীকে খুন করেছে বিজেপি কর্মীরা, এমনটাই অভিযোগ করে রাজ্যের শাসক দল। এরপরেই আগুন ধরিয়ে দেওয়া হল এলাকার বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে। গেরুয়া দলের (BJP) অভিযোগ, অন্য কেউ নয়, তাঁদের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে তৃণমূল কর্মীরাই। যদিও ঘাসফুলের (TMC) দলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
স্বামী বিবেকানন্দর মূর্তি ভাঙা হল মুর্শিদাবাদে, তদন্তে পুলিশ
গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ময়নাগুড়ির চূড়া ভাণ্ডার এলাকায় তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। সেই সংঘর্ষে ভোম্বল ঘোষ নামে এক তৃণমূল কর্মীর মাথায় ধারালো অস্ত্রের কোপ লাগে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে শিলিগুড়ির এক নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর ২৩ ফেব্রুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। এরপরেই স্থানীয় তৃণমূল নেতা মনোজ রায় অভিযোগ করেন যে তৃণমূল কর্মীর উপর ওই হামলার ঘটনায় জড়িত বিজেপি কর্মীরাই।
এপ্রিলের মাঝামাঝি হতে পারে কলকাতা পুরসভার নির্বাচন
এদিকে বিজেপির জেলা সভাপতি বাপী গোস্বামী জানিয়েছেন, রবিবার ভোম্বল ঘোষের মরদেহ হুসলুড়ডাঙ্গায় আনার পরেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বিজেপি সমর্থকদের ৭টি বাড়ি ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। ঘটনার পর ওই এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ধেনধূপ শেরপা'র নেতৃত্বে একটি বিশাল দল মোতায়েন করা হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেস-বিজেপির মধ্যে রাজনৈতিক সংঘর্ষের জেরে এখনও উত্তপ্ত রয়েছে গোটা এলাকা।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)