This Article is From Aug 11, 2018

কেরলে বিধ্বংসী বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে 37, জারি উচ্চ সতর্কতা

আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, 15 আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।

কেরলে বিধ্বংসী বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে 37, জারি উচ্চ সতর্কতা

31,000 মানুষ রেসকিউ ক্যাম্পে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন কেরলে

কোচি:

কেরলের মোট 14 টির মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি জেলায় উচ্চ সতর্কতা জারি করল প্রশাসন। শনিবার আধিকারিকেরা জানান, এ যাবৎকালে দক্ষিণভারতের সবচেয়ে খারাপ বন্যার নজির দেখছে এই রাজ্য। বন্যার মৃত্যুর সংখ্যা একলাফে বেড়ে দাঁড়িয়েছে 37।

টানা ভারী বৃষ্টিপাত এবং ভূমিধসের ফলে কৃষকরাও মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছেন, চাষজমিও বিপুল ক্ষতির মুখে পড়েছে বন্যার ফলে।

কেরালার রাজ্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (কেএসডিএমএ) কথায়, 1,031 হেক্টর (2547.66 একর) জমিতে ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং 31 হাজার মানুষ এখনও পর্যন্ত রেসকিউ ক্যাম্পে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছেন।

ওই বিভাগেরই এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা জানান, আট জেলায় বিভিন্ন স্তরে উচ্চ সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে।

অন্য একজন সরকারি কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানান, 29 শে মে থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে এই রাজ্যে। তার পর থেকে 26 হাজার 824 হেক্টর জমি জুড়ে 3.42 বিলিয়ন মূল্যের (49.65 মিলিয়ন মার্কিন ডলার) ফসল নষ্ট হয়েছে।

কেএসডিএমএ প্রধান এবং শীর্ষস্থানীয় আমলা পি এইচ কুরিয়ান জানান, বৃষ্টিপাতের পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। "আজ প্রধান জলাভূমি এলাকায় কোন বৃষ্টিপাত ছিল না। তবে 15 আগস্ট পর্যন্ত আমরা আমাদের সতর্কতা ও প্রস্তুতি চালিয়ে যাব,"- বলেন কুরিয়ান ।

ফেডারেল রাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং রবিবার রাজ্যের বন্যা পরিস্থিতি ত্রাণ ও উদ্ধারকার্য দেখতে কেরলে পৌছবেন বলে সূত্রের খবর।

কেরালার কর্তৃপক্ষ বৃষ্টি আর প্রবল পরিমাণ বিধ্বংসী জল প্রতিরোধ করার জন্য 25 টি মূল জলাধারের দরজা খুলে দেওয়ার অভূতপূর্ব পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে।

কেরলে মোট নদীর সংখ্যা 44 টি। 1924 সালের পর এমন বিধ্বংসী বন্যা এই প্রথম দেখছে রাজ্য।

আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, 15 আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়াও উপকূলীয় অঞ্চলে নিম্নচাপের কারণে বন্যার সতর্কতা জারি রাখা হয়েছে। জেলেদের আরব সাগরে প্রবেশ করতেও নিষেধ করা হয়েছে।

.