8 জনকে উদ্ধারের পর উদ্ধারকাজ 20 ঘণ্টা স্থগিত ছিল
থাইল্যান্ডের বারো জন কিশোর ফুটবল খেলোয়াড় নিখোঁজ হওয়ার সতেরো দিন পেরিয়ে যাওয়ার পর উদ্ধারকারী দল সোমবার তাদের ভয়ঙ্কর জলে নিমজ্জিত গুহার ভিতর থেকে উদ্ধার কাজ আবারও শুরু করল।
বারো জন থাই কিশোর এবং তাদের কোচকে উদ্ধারের কাজ সোমবার শুরু হয়। দ্বিতীয় দিনের উদ্ধার কাজের পর চারজনকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আঠারো জনের দলের মধ্যে প্রতিবারে এক জনকেই দুইজন ডুবুরির সঙ্গে করে বাইরে বের করে আনা হচ্ছে। এয়ার ট্যাঙ্ক ও দড়ির সরবরাহ বজায় রাখার জন্য মাঝে মধ্যেই উদ্ধার কাজ স্থগিত রাখা হচ্ছে। রবিবার ওই দলের প্রথম চারজনকে উদ্ধার করা হয় এবং অ্যাম্বুলেন্স ও হেলিকপ্টারের মাধ্যমে নিকটবর্তী হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়।
থাই নেভি সিল দলের তরফে তাদের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে জানানো হয়, “2 দিন, 8 ওয়াইল্ড বোরস”।
আধিকারিকরা জানান সোমবারের উদ্ধার কাজে নয় ঘণ্টায় একশো উদ্ধারকারীর সহযোগিতায় আগের দিনের তুলনায় বেশি ভাল উদ্ধার কাজ চালানো সম্ভব হয়েছে।
“আমরা আজ অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী। আজ অনেক দ্রুত কাজ হয়েছে। আমি খুব খুশি”, মিশনের প্রধান নারংসাক ওসাটানাকোরন জানান। দ্বিতীয় দল ছেলেদের উদ্ধারের পর তিনি জানান, তারা প্রথম উদ্ধার হওয়া দলের তুলনায় সুস্থ ছিল।
গত 23 শে জুন ওই বারো জন কিশোর এবং তাদের 25 বছর বয়সী কোচ নিখোঁজ হয়ে যায় এবং জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় আটকে পরে। এক সপ্তাহেরও বেশি পরে তাদের গুহার ভিতর একটা ছোট্ট স্থলভাগের ওপর খুঁজে পাওয়া যায়। বিশ্বব্যাপী সকলেই তাদের জন্য চিন্তিত, বিশেষত সাঁতার না জানায় এবং শরীর দুর্বল থাকায় তাদের উদ্ধার করতে কতটা সমস্যা হতে পারে থাই সরকারের তরফে তা ঘোষণা হওয়ার পর থেকে।
আধিকারিকরা জানিয়েছেন উদ্ধার হওয়া ছেলেরা সুস্থ আছে। তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে যেহেতু দীর্ঘদিন গুহায় আটক থাকার ফলে তাদের বিভিন্ন রোগ সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু নারংসাক জানিয়েছেন, একদল ডাক্তার নির্ধারণ করবেন তাদের মা বাবাকে কাঁচের বেষ্টনীর বাইরে থেকে ছেলেদের সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হবে কি না।
উদ্ধারকারী দলের তরফে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া কিশোরদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী এবং মিলিটারি দলপতি প্রাইউথ চান-ওচা সোমবার উদ্ধারকারী দলের সদস্য এবং নিখোঁজ কিশোরদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন। তিনি হাসপাতালে এখনও পর্যন্ত উদ্ধার হওয়া আটজন কিশোরের সঙ্গেও দেখা করতে যান।
কিশোরদের উদ্ধার হওয়ার খবর টেলিভিশনে সম্প্রচারিত হওয়ার পর তাদের পরিবার, আত্মীয়, বন্ধু, সহপাঠী, বিদ্যালয়ের শিক্ষক- সকলেই অত্যন্ত উচ্ছ্বসিত।
কিন্তু সকলের মনেই একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে, তারা আসন্ন বর্ষার মরশুমে এত দূর কেন গেল?