This Article is From Dec 30, 2019

রেলের সম্পত্তির ক্ষতি প্রায় ৮০ কোটি টাকা , ক্ষতিপূরণ দেবেন সিএএ'র প্রতিবাদীরা: রেলওয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান

গত সপ্তাহেই উত্তর প্রদেশ সরকার, একই ভাবে সে রাজ্যে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরে অভিযুক্তদের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে

রেলের সম্পত্তির ক্ষতি প্রায় ৮০ কোটি টাকা , ক্ষতিপূরণ দেবেন সিএএ'র প্রতিবাদীরা: রেলওয়ে বোর্ড চেয়ারম্যান

মুর্শিদাবাদের লালগোলায় পাঁচটি ফাঁকা ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হয়

কলকাতা:

ক্ষতিপূরণ আদায়ে এবার উত্তরপ্রদেশের পথে হাঁটতে চলেছে ভারতীয় রেল। সিএএ-বিরোধী আন্দোলনের প্রভাবে রেলের প্রায় ৮০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতির মুখে পড়েছে। ভাঙচুরে অভিযুক্তদের থেকেই এই ক্ষতিপূরণ তোলা হবে। সোমবার স্পষ্ট  করেছেন রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনোদ কুমার যাদব। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোমবার পিটিআইকে জানিয়েছেন, "সিএএ বিরোধী আন্দোলনের জেরে রেলের প্রায় ৮০ কোটি টাকার সম্পত্তি ক্ষতির মুখে পড়েছে। পূর্ব রেলের ক্ষতির পরিমাণ ৭০ কোটি আর নর্থইস্ট ফ্রন্টিয়ার রেলের ক্ষতি প্রায় ১০ কোটি টাকা। এই ক্ষতিপূরণের টাকা, যারা হিংসা ও রেলের সম্পত্তি ভাঙচুরে অভিযুক্ত তাদের থেকেই আমরা তুলবো। আপাতত প্রাথমিক একটা হিসেব বলছে সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি প্রায় ৮০ কোটি টাকা। পরে চূড়ান্ত হিসেবে সেই পরিমাণ বাড়তেও পারে। আরপিএফ, রাজ্য সরকারের সঙ্গে সমন্বয় রাখছে। অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা গেলেই আমরা নোটিশ পাঠাবো।'

গত সপ্তাহেই উত্তর প্রদেশ সরকার, একই ভাবে সে রাজ্যে সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরে অভিযুক্তদের কাছে ক্ষতিপূরণ চেয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে। গোটা রাজ্য থেকে ২৮ জনকে চিহ্নিত করে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১৪ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা সরকারি কোষাগারে  ফেরাতে নির্দেশও দিয়েছে। দিনকয়েক আগে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ জানিয়েছিলেন, সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুরে অভিযুক্তদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। তারপর লখনউ ও সম্বলপুরে সেই সম্পত্তি নিলামে তুলে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে। এদিকে চলতি মাসের মাঝামাঝি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে খালি দাঁড়িয়ে থাকা ৫টি ট্রেনে আগুন ধরানো হয়েছিলো। পাশাপাশি হাওড়া স্টেশনেও চলেছিলো অগ্নি-সংযোগের ঘটনা।এই দুটি এলাকা পূর্ব রেলের অধীন।

7ninqjro

একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলের ৮টি ট্রেন “পুরোপুরি” বাতিল করা হয়েছে (ফাইল)

মালদার একাধিক স্টেশনে চলেছিল ভাঙচুর। উত্তর-পূর্ব ফ্রন্টিয়ার রেলের অধীন অসমের কিছু ট্রেন এবং স্টেশনে চলেছিল তান্ডব। এবিষয়ে দুদিন আগেই রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়কে প্রস্তাব দিয়েছিলেন, রেলের সম্পত্তি হানির ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে। এদিকে রেলের তরফে সম্পত্তি ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা গেলে, তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় রেলওয়ে আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের হবে। যে মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বাধিক ৭ বছর পর্যন্ত জেলও হতে পারে।

 PTI, ANI এর তথ্য সংযোজিত হয়েছে  

.