Read in English
This Article is From Jun 06, 2020

২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত ৯,৮৮৭ জন, একদিনে ২৯৪ জনের প্রাণ কাড়ল কোভিড- ১৯

Coronavirus cases in India: সংক্রমণের বিচারে ইতালিকে টপকে ৬ নম্বরে ভারত, এদেশে এখন করোনা আক্রান্ত ২.৩৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Edited by

Coronavirus: সংক্রমণের বিচারে ইতালিকে টপকে এখন ৬ নম্বরে ভারত

Highlights

  • দেশে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করার পরে আরও দ্রুতহারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ
  • সারা বিশ্বের মধ্যে করোনা আক্রান্তের হিসাবে এখন ৬ নম্বরে ভারত
  • ভারতে করোনা ভাইরাস প্রাণ কেড়েছে ৬,৬৪২ জনের
নয়া দিল্লি:

২৪ ঘণ্টায় করোনা (Coronavirus) আক্রান্ত ৯,৮৮৭ জন, একদিনে ২৯৪ জনের প্রাণ (Coronavirus cases in India) কাড়ল কোভিড- ১৯। সরকারি তথ্য অনুসারে শুক্রবারের তুলনায় করোনা (COVID -19) থেকে পুনরুদ্ধারের হারের সামান্য অবনতি হয়েছে। শুক্রবার যেখানে দেশে ৪৮.২৭ শতাংশ মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েও পরে সুস্থ হয়েছেন দেখা যাচ্ছিল সেখানে শনিবার সেই পুনরুদ্ধারের হার কমে এসে দাঁড়িয়েছে ৪৮.২০ শতাংশে। গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৯৪ জনের মৃত্যু হওয়ায় ভারতে এখনও পর্যন্ত করোনা প্রাণ কাড়ল ৬,৬৪২ জনের। সংক্রমণের বিচারে ইতালিকে টপকে ৬ নম্বরে ভারত, এদেশে এখন করোনা আক্রান্ত ২.৩৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ। মাত্র এক সপ্তাহ আগেই ভারত চিনকে টপকে ৯ নম্বরে ছিল, আর এই কদিনেই দেশ পৌঁছে গেল ৬ নম্বরে।

ইডির ৬ আধিকারিক করোনা পজিটিভ, 'সিল' করা হল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের প্রধান কার্যালয়

১ মে থেকেই দেশে অত্যন্ত দ্রুতহারে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে। ওই দিন থেকেই পরিযায়ী শ্রমিকদের ভিন রাজ্য থেকে তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছতে চালু হয়েছে শ্রমিক স্পেশাল ট্রেন। মনে করা হচ্ছে, পরিযায়ী শ্রমিকদের মাধ্যমেই লাফিয়ে লাফিয়ে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।

Advertisement

এদিকে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যেভাবে সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে কপালে ভাঁজ পড়ছে সকলের। ইতিমধ্যেই দিল্লি এবং গুজরাটে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচ অঙ্কের ঘর ছুঁয়ে ফেলেছে। ওদিকে রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ এবং মধ্যপ্রদেশেও মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৯,০০০ পেরিয়ে গেছে।

করোনায় মৃতদের হেলাফেলা করে শেষকৃত্য করা হচ্ছে, কলকাতা হাইকোর্টে মামলা

Advertisement

দেশে সবচেয়ে বেশি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মহারাষ্ট্রের মানুষ। ওদিকে সক্রিয় করোনা রোগীর হিসাবে এখন দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী দিল্লি। যদিও মোট করোনা আক্রান্তের বিচারে দিল্লির আগে রয়েছে দেশের দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ু। আর মৃত্যুর পরিসংখ্য়ানের হিসাবে গুজরাট রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে এবং তৃতীয় স্থানে রয়েছে দিল্লি। তবে মোট করোনা আক্রান্ত, সক্রিয় করোনা রোগী এবং করোনায় ভুগে মৃত্যু, সবদিক থেকে বিচার করেই সব রাজ্যের মধ্যে শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্রই।

এদিকে করোনাকে রুখতে দেশে ২৫ মার্চ থেকে টানা লকডাউন জারি করায় মুখ থুবড়ে পড়েছে দেশের অর্থনীতি। তাই এবার ধীরে ধীরে লকডাউনের বিধিনিষেধ শিথিল করে করোনাকে সঙ্গে নিয়েই জীবন শুরু করার ভাবনা ভেবেছে কেন্দ্রীয় সরকার।

Advertisement

সেই লক্ষ্যেই গত বৃহস্পতিবার করোনা সতর্কতায় এক নয়া নির্দেশিকা জারি করে কেন্দ্র। আগামী ৮ জুন থেকে দেশের প্রায় সমস্ত শপিংমল, রেস্তোঁরা, হোটেল এবং ধর্মীয় স্থানগুলো খুলে দেওয়ার বিষয়ে অনুমতি দিয়েছে সরকার, তবে সব জায়গায় মেনে চলতে হবে কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা ওই কড়া নির্দেশাবলী। সোমবার থেকে কার্যকর হওয়া ওই নির্দেশিকাতে স্পষ্ট জানানো হয়েছে যে ধর্মীয় স্থান ও মলগুলোতে সীমিত সংখ্যক মানুষকে প্রবেশে অনুমতি দেওয়া হবে। পাশাপাশি ধর্মীয় স্থানগুলিতে কোনওভাবেই প্রতিমা বা দেবালয়কে স্পর্শ করা যাবে না। অফিসগুলিও খুলে যাচ্ছে ৮ জুন থেকে। সেখানেও করোনা সতর্কতায় মেনে চলতে হবে ওই কেন্দ্রীয় নির্দেশাবলী। তবে আপাতত কনটেইনমেন্ট জোনের কোনও বাসিন্দা কাজে যোগ দিতে পারবেন না।

কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশিকা অনুসারে, শরীরের তাপমাত্রা পরীক্ষা করার জন্য প্রত্যেক অফিসেই থার্মাল স্ক্যানিং যন্ত্র রাখতে হবে। প্রতিটি কর্মীরই মাস্ক ব্যবহার আবশ্যিক। তবে শপিং মল খোলার অনুমতি দেওয়া হলেও সিনেমা হল, শিশুদের খেলাধুলোর জায়গা সহ বেশ কিছু ক্ষেত্রগুলোকে এখনও বন্ধ রাখারই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

Advertisement