পেট্রোলের দাম ফের বেড়ে গেল আজ। গোটা দেশ জুড়ে এই নিয়ে টানা 9 দিন ধরে দাম বাড়ল।
নিউ দিল্লি:
পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম কমানোর ব্যাপারে সরকার হস্তক্ষপ করতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আজ সন্ধ্যায় তেল কোম্পানির প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করবেন। তারপর জ্বালানী তেলের দাম কমতে পারে। আজ সকালে পেট্রোলের দাম ফের বেড়ে গিয়েছে। এই নিয়ে পরপর ন’দিনে ন’বার দাম বাড়ল জ্বালানী তেলের। বিরোধীরা ক্রমাগত তীব্র আক্রমণ করে চলেছে সরকারকে। দিল্লিতে পেট্রোলের বর্তমান মূল্য প্রতি লিটারে 76.87 টাকা। মুম্বাইতে রেকর্ড 84.70 টাকা।
এখানে এই বড়ো নিবন্ধটির 10 টি মুখ্য বিষয় তুলে ধরা হল :
যদিও অর্থমন্ত্রক থেকে পরিষ্কার করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এই মুহূর্তে শুল্কের হার কমানোর সম্ভাবনা খুবই কম। তবুও, পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক থেকে জানানো হয়েছে, তারা চেষ্টা করছে অন্তত অল্প কিছু হলেও যাতে কমানো যায়, সেটি দেখার। বাকিটা নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অনুমোদনের ওপর।
“আমি স্বীকার করছি যে, জ্বালানী তেলের এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির ফলে ভারতের নাগরিকেরা এবং বিশেষ করে মধ্যবিত্ত শ্রেণিটি চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছে। সরকার খুব শীঘ্রই এর একটি সমাধান বের করবে”। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এ কথা জানান। যা তিনি উল্লেখ করেননি, তা হল, এই মুহূর্তে জ্বালানী তেলের মূল্যবৃদ্ধি রোখার মাত্র দুটি পথ। একটি হল, উৎপাদন শুল্কের হার কমানো, যার ফলে সরকারের রাজকোষের ক্ষতি। আর, দ্বিতীয়টি হল, তেল কোম্পানিগুলোকে আপাতত কয়েকদিনের জন্য ক্ষতি মেনে নেওয়ার অনুরোধ জানানো।
কংগ্রেসসহ বিরোধী দল এই মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তীব্র আক্রমণ করেছে সরকারকে।
অন্যান্য বিভিন্ন সেক্টর থেকেও সরকারকে জরুরি ভিত্তিতে এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি কমানোর জন্য ক্রমাগত অনুরোধ করা হচ্ছে। “অতি দ্রুত এই ব্যাপারে ব্যবস্থা না নেওয়া হলে, অর্থনীতি আবার একটি বড়ো বাধার সম্মুখীন হবে। এই মুহূর্তে সবথেকে আগে যা করা যায়, তা হল, জ্বালানী তেলের ওপর থেকে উৎপাদন শুল্ক কমিয়ে দেওয়া”। ফিকি সবাপতি রাশেশ শাহ গতকাল এ কথা বলেন।
বিরোধীদের একাংশ দাবি করেছে, পেট্রোল এবং ডিজেলকেও জিএসটির আওতায় নিয়ে আসা হোক।
জিএসটির সর্বোচ্চ স্ল্যাবটি যদি পেট্রোল এবং ডিজেলের ওপর লাগু হয়, তবে, দিল্লিতে এক ধাক্কায় দাম কমে হয়ে যাবে প্রতি লিটারে 56 টাকা। কিন্তু, জ্বালানী তেল থেকে আসা বিশাল রাজস্বের কথা মাথায় রেখে সরকার এই নিয়ে খুব একটা উৎসাহ দেখায়নি।
বিরোধীরা আরও অভিযোগ করেছে যে, জ্বালানী তেল নিয়ে রাজনীতি করছে সরকার। সময় বুঝে দাম বাড়াচ্ছে।
পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এই মূল্যবৃদ্ধির জন্য দায়ী করেছেন, অর্গানাইজেশন অব দ্য পেট্রোলিয়াম এক্সপোর্টিং কান্ট্রিজ ( ওপেক )-এর আওতায় থাকা দেশগুলিকে।
ভারত তার মোট চাহিদার 80 শতাংশ তেল বিদেশ থেকে রপ্তানি করে। বিশ্ব বাজারে টাকার দাম ডলারের নিরিখে পড়ে যাওয়ায় আগের থেকে বেশি দাম দিয়ে তেল কিনতে হচ্ছে।
এই দেশে 2010-এর জুন মাসে নিয়ন্ত্রণ মুক্ত হয়েছিল পেট্রোল। ডিজেল থেকে নিয়ন্ত্রণ উঠে গিয়েছিল 2014 সালের অক্টোবর মাসে।
Post a comment