ভবিষ্যতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করবে বিস্ময় বালক, এমনটাই জানাচ্ছে তার বাবা।
নয়াদিল্লি: একেই বলে বিস্ময় বালক (Child Prodigy of Belgium)। মাত্র ৯ বছর বয়সে তিনি হতে চলেছেন স্নাতক! শুনতে যতই অবিশ্বাস্য মনে হোক, ঘটনাটি একেবারে নিখাদ সত্যি। বেলজিয়ামের এইন্ডহোভেন প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সে ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ছে। আগামী ডিসেম্বরেই স্নাতক হবে ছোট্ট লরেন্ট সিমন্স (Laurent Simons)। এখানেই শেষ নয়, ভবিষ্যতে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পিএইচডি করবে সে। এমনটাই জানাচ্ছে তার বাবা। আপাতত সে জন্যই প্রস্তুত হচ্ছে সিমন্স। এরই পাশাপাশি মেডিক্যাল ডিগ্রি অর্জন করতেও চায় সে। মানুষের এমন এক চিপ নিয়ে সে কাজ করছে সে। ওই চিপ মস্তিষ্কের একটি অংশকে প্রতিস্থাপন করবে। এপ্রসঙ্গে সে জানাচ্ছে, ‘‘আমরা নিউরনের জায়গায় ওই চিপটি রেখে সংযোগ তৈরি করছি এবং মস্তিষ্কের এক অংশে এর প্রতিক্রিয়া দেখতে চাইছি।''
"গাজর থেকে কুমড়ো হওয়ার গল্প": নিজের পুরনো ছবি শেয়ার করলেন স্মৃতি ইরানি
সিমন্সের বাবা-মা জানাচ্ছেন, ছেলের জন্মের সময় ওর দাদা বলেছিল, এই ছেলে ভগবানের দেওয়া উপহার। তার শিক্ষকরা গোড়া তেকেই তাকে বিস্মিত হয়েছিলেন। তাঁরা বুঝতে পেরেছিলেন একরত্তি এক বালকের মধ্যে বিপুল প্রতিভা রয়েছে। তার পরিবার চিকিৎসকের পরিবার। কিন্তু তাঁরাও বুঝতে পারছেন না, কী করে এত ছোট্ট এক ছেলে কী করে এত সব কঠিন বিষয় এত সহজে শিখে ফেলছে!
এয়ারপোর্টে দেখা, বিমানে বিয়ে! দুই দেশ বাঁধা পড়ল আকাশে গিয়ে...
রসিকতার সুরে সিমন্সের মা জানিয়েছেন, ছেলের জন্মের সময় তিনি প্রচুর মাছ খেয়েছিলেন। হয়তো সেই জন্য ছেলে এমন আশ্চর্য মেধাবী হয়েছে।
তার শিক্ষকরা জানাচ্ছেন, এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের থেকে বহু বহু এগিয়ে ছোট্ট সিমন্স। সে কেবল মেধাবীই নয়, কোমলও।
ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং তার প্রিয় বিষয়। পাশাপাশি ওষুধ ক্ষেত্রেও তার প্রবল আগ্রহ।