জ্যামেলের মা লেয়া পিয়ার্স স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, নিজের বাড়িতেই তাঁর পুত্র গত বৃহস্পতিবার আত্মহত্যা করে।
লস অ্যাঞ্জেলেস: অসহিষ্ণুতা আসলে রন্ধ্রে রন্ধ্রে। সে শৈশব হোক বা প্রৌঢ়ত্ব, অন্যরকমকে স্বীকৃতি দেওয়ার মানসিকতা হারিয়ে গিয়েছে বহু আগেই। ভারত হোক বা কলোরাডো ছবিটা তাই সর্বত্রই এক। সে কারণেই সমকামী হওয়ার কারণে বন্ধুদের হাসিঠাট্টা সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথই বেছে নিতে হয় শিশুকেও।
মাত্র চারদিন স্কুলে গেছিল কলোরাডোর ডেনভারের এক নয় বছরের স্কুল পড়ুয়া জ্যামেল মাইলস। তাঁর মা জানিয়েছেন, সমকামী হওয়ায় সহপাঠীদের ঠাট্টা তামাশার শিকার হয় সে। স্কুলের প্রথম সপ্তাহেই অবসাদে আত্মহত্যা করে জ্যামেল।
জ্যামেলের মা লেয়া পিয়ার্স স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, টানা কয়েকদিন সমকামী হওয়ার ‘অপরাধে’ বন্ধুদের পিছনে লাগা সইতে না পেরে নিজের বাড়িতেই তাঁর পুত্র গত বৃহস্পতিবার আত্মহত্যা করে।
"মাত্র চারদিন স্কুলে গেছিল, আমি কেবল ভাবছি ওরা আমার ছেলেকে ঠিক কী কী বলতে পারে! ছেলে আমার বড় মেয়েকে জানিয়েছিল যে, সে গে বলে স্কুলে ছেলেমেয়েরা ওকে মরে যেতে বলে। আমার কষ্ট একটা জায়গাতেই যে ও আমাকে একবার কথাটা বলল না কেন!"- বলেন পিয়ার্স।
পিয়ার্স আরও জানান, এই গ্রীষ্মের সময়েই জ্যামেল তাঁকে জানায় যে সে গে। এবং সে তাঁর সহপাঠীদের কাছে এভাবেই নিজের পরিচয় দিতে চায়। দিন কয়েক আগেই জো শুমেকার প্রাথমিক স্কুলে নাম নথিভুক্ত হয় জ্যামেলের।
পিয়ার্সের কথায়, "ও স্কুলে যায় এবং আমাকে বলে যে জ্যামেল গে একথা সে সবাইকে জানাবে, কারণ নিজের পরিচিতি নিয়ে তাঁর যথেষ্টই গর্ব রয়েছে।
স্কুল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে ওই পড়ুয়াদের বাড়িতে চিঠি পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কাউন্সেলিংও করা হবে। পিয়ার্সের আশা তাঁর সন্তানের মৃত্যু এই বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে সাহায্য করবে।
"কাউকে নিয়ে ঠাট্টা তামাশা করার আগে জানতে হবে এর দায় কিন্তু আমাদেরই। কোনও বাচ্চাই নিজে থেকে আত্মহত্যার পথে যেতে পারে না। আমি মনে করি অভিভাবককেরাও এর জন্য দায়ী। শিশুদের যা শেখানো হয় তাই তারা শেখে।”- বলেন সন্তান হারানো মা।