Hyderabad...শিশুটিকে উদ্ধার করেন সমাজকর্মী অচ্যুত রাও।
হায়দরাবাদ: হায়দরাবাদের এক চার বছরের শিশুকে গরম লোহার চামচ দিয়ে ছ্যাঁকা দিয়ে, মেরে এবং খিমচিয়ে দিয়ে ‘অমানবিকতার’ এক দৃষ্টান্ত তুলে ধরল তার মা ও মায়ের লিভ-ইন পার্টনার (Hyderabad child was burnt...)। ওই শিশুটিকে কয়েকজন সমাজকর্মী উদ্ধার করে তারপর।
সে ওই সমাজকর্মীদের জানায় ঠিক কীভাবে অত্যাচার করা হয়েছিল তার ওপর। তার কথায়, “আমি যখন খাচ্ছিলাম, সেই সময়ই আমাকে পুড়িয়ে দেয় আমার বাবা”। ওই শিশুর বর্ণনা শুনতে শুনতে উদ্ধারকারী সমাজকর্মীদেরও চোখে জল এসে যায়। “আমার বাবা প্রথমে আমাকে প্রবল মারছিল। তারপরই গায়ে ওই গরম লোহার চামচ দিয়ে চামড়া পুড়িয়ে দেয়”, ভয়ার্ত কণ্ঠে সমাজকর্মীদের বলতে থাকে সে।
ওই অত্যাচার চলার সময় শিশুটি চিৎকার করছিল। তাই শুনেই তার প্রতিবেশিরা স্থানীয় এক নেতাকে খবর দেয়। তিনি তখন খবর দেন সমাজকর্মী অচ্যুত রাওকে। শিশুটির মা ও তার লিভ-ইন পার্টনারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
তদন্ত করে জানা গিয়েছে, ওই শিশুটির মায়ের বয়স পঁচিশ বছর। তিনি ওই শিশুটির বাবাকে ছেড়ে অন্য একজন ব্যক্তির সঙ্গে থাকেন। দুজনের মধ্যে মনোমালিন্য শুরু হলে রাগ গিয়ে পড়ে ওই শিশুটির ওপর।
অচ্যুত রাও বলেন, “বড়দের ঝামেলার বলি হয় ছোটরা, এমন ঘটনার এবার শিকার এই অসহায় শিশুটি। বিয়ে ব্যর্থ হওয়ার পর সব মহিলারই অধিকার আছে নতুনভাবে জীবন শুরু করার। কিন্তু, তা করতে গিয়ে অযাচিতভাবে ‘শিকার’ হয় তাদের আগের পক্ষের সন্তানটি। এক্ষেত্রে যেমন এই মেয়েটি হল”, বলেন অচ্যুত রাও।
ওই চার বছরের শিশুটিকে আপাতত একটি সরকারি আবাসিক হোমে রাখা হয়েছে।