করোনার জেরে ঘরবন্দি এক বাঙালির স্পেন থেকে আর্তি, দয়া করে লক ডাউন মানুন!
হাইলাইটস
- কলকাতার বাসিন্দা তন্ময় বসু কর্মসূত্রে থাকেন বার্সেলোনার কাছেই
- স্পেনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে
- খাবার-দাবারও সেভাবে এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না
কলকাতা: গোটা পৃথিবীতে এখন করোনার ভয়াল প্রকোপ, ইতালির পাশাপাশি ইউরোপের অন্যান্য দেশগুলোও করোনায়(Coronavirus) জর্জরিত। ইংল্যান্ড, ফ্রান্স, স্পেন তার অন্যতম।করোনা আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এই দেশগুলিতে প্রতিদিনই। তার সঙ্গে মৃত্যু-মিছিল। লকডাউন চলছে। একদা যেখানে গমগম করত মানবসভ্যতা, ইউরোপের এই সমস্ত দেশ এখন মৃত্যুপুরী। ঘরবন্দি মানুষ বসে বসে শুনছেন আশপাশে প্রত্যেকদিনই আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষজন। আর যারা এদেশ থেকে গেছেন সেখানে কর্মসূত্রে? তারাও রয়েছেন সমস্যায়,আতঙ্কে। আদোতে কলকাতার বাসিন্দা তন্ময় বসু(Tanmoy Bose) কর্মসূত্রে থাকেন বার্সেলোনার কাছেই স্পেনের একটি দ্বীপ পালমা দে মায়োরকায়। করোনা ভাইরাসের আতঙ্ক। তারওপর লকডাউন। আতঙ্কিত তন্ময়। একদিকে স্পেনে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। তন্ময় জানালেন খাবার-দাবারও সেভাবে এখন আর পাওয়া যাচ্ছে না। গত কুড়ি দিনে দুবার বের হতে পেরেছেন তন্ময়। কিন্তু সুপারমার্কেট গুলিতে খাবারও সেভাবে মজুদ নেই । তাই ফিরতে হচ্ছে খালি হাতে একরাশ চিন্তা নিয়ে।
একদা ব্যস্ত তার শহর এখন তাই নিস্তব্ধ।এভাবে যে তার চারপাশটা বদলে যাবেন ভাবতেও পারেনি তন্ময়। তবে স্পেনের মানুষ খুব শৃঙ্খলা পরায়ন ভাবেই লকডাউন মানছেন ।সবাই বাড়িতে থাকছেন। স্বাস্থ্য দপ্তরের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, কেউ অসুস্থ বোধ করলে হাসপাতালে আসার প্রয়োজন নেই। বাড়ি থেকেই ফোন করে দিলে স্বাস্থ্য দপ্তর বাড়িতে পৌঁছে গিয়ে পরীক্ষা করার পর, যা চিকিৎসা প্রয়োজন তা দেবে। সরকার থেকে সব রকম সাহায্য করা হচ্ছে। স্পেনে মানুষ খুবই আতঙ্কিত জানালেন তন্ময় । তবে করোনাভাইরাসকে(Coronavirus) নির্মূল করতে সরকার এবং সাধারন মানুষ একসঙ্গে লড়াই করছেন।
চেনা শহর বদলে গেছে আশপাশের মানুষের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ আর হচ্ছে না। একে করোনা, মৃত্যুভয়, তার ওপর অর্থনৈতিক বিপর্যয় নেমে আসার আশঙ্কায় চিন্তায় রয়েছেন দেশ ছেড়ে বিদেশে থাকা তন্ময়। তবে এত চিন্তার মধ্যেও তনময় সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একটাই আবেদন জানাচ্ছেন মাতৃভূমি ভারত তথা কলকাতার মানুষজনের কাছে। নিজের কদিনের নিষ্ঠুর অভিজ্ঞতা থেকে বারবার আবেদন করছেন। তার নিজের শহরের মানুষ যেন লকডাউন মানে। কারণ লকডাউনের মাধ্যমে ভাইরাসের চেইন ভাঙ্গা যাবে বলছেন তন্ময়।