This Article is From Jan 22, 2020

চূড়ান্ত অবহেলা! জন্মদিনের আগে নিজের শহরেই জরাজীর্ণ নেতাজির মূর্তি!

বৃহস্পতিবার ভারতের এই বীর সন্তানের ১২৩ তম জন্মদিন। কিন্তু নিজের শহরেই তাঁর জন্মদিনের আগে চূড়ান্ত অবহেলিত নেতাজি(Netaji)।

চূড়ান্ত অবহেলা! জন্মদিনের আগে নিজের শহরেই জরাজীর্ণ নেতাজির মূর্তি!

নিজের শহরেই তাঁর জন্মদিনের আগে চূড়ান্ত অবহেলিত নেতাজি

হাইলাইটস

  • নেতাজির একটি মূর্তি, চূড়ান্ত অবহেলায় পড়ে রয়েছে
  • বৃহস্পতিবার ভারতের এই বীর সন্তানের ১২৩ তম জন্মদিন
  • বারাণসীতে যেমন বৃহস্পতিবারই নেতাজির নামাঙ্কিত মন্দিরের উদ্বোধন হবে
কলকাতা:

তিনি বিদ্রোহী, তিনি দেশত্যাগী, তিনি ছিলেন তামাম ভারতের স্বাধীনতার স্বপ্ন সন্ধানী, তিনি ভারতবাসীর নেতাজি (Netaji)। যিনি ভারতবাসীকে বলেছিলেন, "তোমরা আমায় রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেব।" পরিবার-পরিজন, সবকিছু ত্যাগ করে শুধু দেশ সেবায় যিনি ব্রতী হয়েছিলেন নিঃস্বার্থভাবে।বৃহস্পতিবার তাঁর ১২৩ তম জন্ম দিবস। গোটা দেশজুড়ে নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালিত হবে তাদের প্রিয় নেতাজির জন্ম দিবস (Netaji birthday)। কোথাও রক্তদান শিবির, কোথাও মাল্যদান অনুষ্ঠান। বারাণসীতে যেমন বৃহস্পতিবারই নেতাজির নামাঙ্কিত মন্দিরের উদ্বোধন হবে। যেখানে সকাল রাত সবসময়ই আরতি করা হবে নেতাজির। পড়শী রাজ্য ঝাড়খন্ড ২৩ শে জানুয়ারিকে পাবলিক হলিডে হিসেবে ঘোষণা করেছে ইতিমধ্যেই।

তবে গোটা দেশের সঙ্গে সঙ্গে বাঙালির কাছে নেতাজি একটা  আলাদা আবেগ।১৯৪৫ র পর  যে মানুষটির খোঁজ আর পাওয়া যায়নি, ৪৭ এ স্বাধীনতা এসেছে, দেশ ভাগ হয়েছে। তবে ভারতের এই বীর সৈনিক কি দেশে ফিরেছিলেন? তিনি কি জীবিত ছিলেন নাকি তার মৃত্যু হয়েছিল বিমান দুর্ঘটনায়? এই বিতর্কে জেরবার হয়েছে গোটা দেশ । একের পর এক কমিশনও তৈরি হয়েছে। তবে সব তথ্য কে দূরে সরিয়ে রেখে আজও ভারতবাসী তথা বাঙালি হৃদয়ে তিনি অমর। বৃহস্পতিবার ভারতের এই বীর সন্তানের ১২৩ তম জন্মদিন।  কিন্তু নিজের শহরেই তাঁর জন্মদিনের আগে চূড়ান্ত অবহেলিত নেতাজি। একেবারে কলকাতার প্রাণকেন্দ্রে, গড়িয়াহাটের বাসন্তী দেবী কলেজ চত্বরে নেতাজির একটি মূর্তি(Netaji Statue), চূড়ান্ত অবহেলায় পড়ে রয়েছে। মূর্তিটির বিভিন্ন অংশে ফাটল ধরেছে, ভেঙে পড়েছে মূর্তিটি।

আজ থেকেই শহরের আনাচে-কানাচে, নানান অনুষ্ঠানের গমগম শব্দ কানে আসছে। নেতাজি জন্মদিন উপলক্ষে, নানান জায়গা ছোট ছোট অনুষ্ঠান, কোথাও কুচকাওয়াজ, কোথাও রক্তদান শিবির ,কোথাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু শহরের একেবারে প্রাণকেন্দ্র ,গড়িয়াহাট চত্বরে নেতাজির মূর্তির এই অবহেলা তবে কেন? কারোর কি চোখে পড়ছে না? কিছুদিন আগেই বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙা প্রসঙ্গে, বিতর্ক ,রাজনৈতিক উত্তাপ দেখেছি আমরা।অনেকে বলেন এই শহর এখন স্ট্যাচুর শহর। নিত্যদিনই নতুন নতুন মূর্তির আবরণ উন্মোচন হয় এরাজ্যে। কিন্তু বাঙালির গর্ব, বাঙালির আবেগ, বাঙালির নেতাজির এই অবহেলা নিয়ে প্রশ্ন করার কেউ কি আছে? আগামীকাল যখন শহর ছাড়িয়ে রাজ্য, রাজ্য ছাড়িয়ে গোটা দেশ, এমনকি পৃথিবীর বিভিন্ন অংশে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে ফুলমালা দেওয়া হবে, বারাণসীতে তাঁর নামে প্রথম মন্দিরের উদ্বোধন হবে ,তখন এই শহরের কোন এক কোনায় অবহেলিত নেতাজির কি একটি মালাও জুটবে প্রশ্ন কিন্তু রয়েই গেল।

.