সেই বিখ্যাত বিজ্ঞাপন ভোলেননি নিশ্চয়ই! 'চিতা ভি পিতা হ্যায়....'! সেই সুরে সুর মেলালো এবার বাস্তবের চিতাবাঘ। New Jersey-র Turtle Back Zoo-র এই বাসিন্দার বুজুম ফ্রেন্ড সারমেয়, ল্যাব্রাডর! এতটাই গাঢ় সেই বন্ধুত্ব যে দুই শাবক নাকি একসঙ্গে ওঠে, বসে, খায়, সময় কাটচায়, খুনসুটিতে মাতে। চিতা "Nandi"-র সঙ্গে সারমেয় "Bowie"-র এই সখ্যতা মনে করিয়ে দেবে আরও একটি বাংলা প্রবাদ---শুধু বাঘে গোরুতে নয়, বাঘে-কুকুরেও থআকতে পারে একসঙ্গে! মাত্র কয়েক সপ্তাহ তাদের বয়েস। কিন্তু দুই পশুর বন্ধুত্ব আপাতত চিড়িয়াখানার মস্ত আকর্ষণ।
যদিও চিড়িয়াখানার কর্তৃপক্ষের মতে, চিতা স্বভাবে প্রচণ্ড লাজুক। কুকুরের সঙ্গে তাই তার দোস্তি। কারণ, এর থেকে আত্মবিশ্বাস বাড়ে তার। চিড়িয়াখানার পক্ষ থেকে Charlotte Trapman-O'Brien জানিয়েছেন, বউইকে রাখাই হয়েছে চিতার আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য। তাই ওদের বন্ধুত্ব দেখে চিড়িয়াখানায় ঘুরতে আসা ছোট-বড় সবাই অবাক হলেও কর্তৃপক্ষ ভেবে চিন্তেই এদের একসঙ্গে রেখেছে।
অর্থাৎ, এখানে বাউই-র ভূমিকা অনেকটাই থেরাপিস্টের মতো। মনোবিশ্লেষকেরা যেমন তাঁদের কথা, থেরাপি দিয়ে আত্মবিশ্বাস বাড়ান সেই কাজটিই করবে সারমেয়। তাই শুধু খুনসুটি নয়, খেলনা নিয়ে হুটোপাটিও করতে দেখা গেছে দুই পশুশাবককে। কর্তৃপক্ষ আরও জানিয়েছেন, নন্দী যাতে কখনও ভয় না পায়, নার্ভাস না হয় তার জন্য সারাক্ষণ তাকে আগলে রাখছে বাউই।
দুই শাবকের এই বন্ধুত্বের ছবি, ভিডিও সোশ্যালে শেয়ার হতেই ভাইরাল তা। সবাই অবাক এই অসম বন্ধুত্ব দেখে। খুশি হয়ে লাইকের পাশপাশি, মন্তব্যও করেছেন তাঁরা। প্রশংসা করেছেন দুই শাবক এবং চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের।
তবে শুধুই এই চিড়িয়াখানা নয়, বিশ্বের আরও অনেক চিড়িয়াখানাতেই এই পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়। আত্মবিশ্বাসীর পাশে থাকলে যেমন যেকোনও মানুষের আত্মবিশ্বাস বাড়ে তেমনি ল্যাব্রাডরের পাশে থআকলে সাহসী হয় চিতা। তাই এই অসম বন্ধুত্বকে কুর্নিশ।