২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়েছিল তৌসিফ সোহরাব ওরফে সাম্বিয়াকে।
কলকাতা: ২০১৬ সালের জানুয়ারিতে ফোর্ট উইলিয়ামের সামনে প্রজাতন্ত্র দিবসের প্যারেডের মহড়ার সময় বায়ুসেনার এক কর্মী অভিমন্যু গৌড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিজের গাড়িতে পিষে দিয়েছিল সাম্বিয়া সোহরাব। ২০১৬ সালের ১৩ জানুয়ারি সকালে ওই মহড়ায় অংশ নিয়েছিলেন বায়ুসেনার কর্মী ২১ বছর বয়সী অভিমন্যু গৌড়। ওই সময়ই তার অডি গাড়ি নিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ওই মহড়ায় ঢুকে পড়ে চাপা দিয়ে দেয় অভিমন্যু গৌড়কে। ২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি গ্রেফতার করা হয়েছিল তৌসিফ সোহরাব ওরফে সাম্বিয়াকে। দায়িত্বজ্ঞানহীন ভাবে গাড়ি চালানোর অপরাধে ওই ঘটনায় তাকে দোষী সাব্যস্ত করে ব্যাঙ্কশাল আদালতের বিচারক মৌমিতা ভট্টাচার্য তাকে অনিচ্ছাকৃত খুনের ধারায় দু'বছরের কারাদণ্ডের সাজা দেন।
সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করার অভিযোগও ছিল তার বিরুদ্ধে, যার জন্য সর্বোচ্চ সাজা দু'বছরের জেল।
২০১৬ সালের ১৭ জানুয়ারি থেকেই জেল হাজতে রয়েছে সাম্বিয়া। তার বিরুদ্ধে থাকা খুন ও খুনের চেষ্টার অভিযোগ তুলে নেওয়া হল। তবে, জরিমানা হয়েছে মোট ১ লক্ষ ১০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যেই তিন বছর জেল খেটে ফেলেছেন সাম্বিয়া। তাই, জরিমানার টাকা দিলেই সে ছাড়া পেয়ে যাবে বলে জানায় আদালত। সাম্বিয়া সোহরাবের এই বেকসুর খালাসের ঘটনাকে কলকাতা পুলিশের ব্যর্থতা বলেই মনে করছে একটি শ্রেণি। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা বলেন, সাতসকালে সকলের চোখের সামনে এত বড় ঘটনাটা ঘটিয়ে ফেলে একজন এভাবে খালাস হয়ে গেল তা ভাবতেই খারাপ লাগছে।
অন্যদিকে, সাম্বিয়ার বাবা বউবাজার কেন্দ্রের প্রাক্তন বিধায়ক মহম্মদ সোহরাব এবং সাম্বিয়ার দুই সঙ্গী শাহনওয়াজ খান ও মহম্মদ নূর আলমকেও বেকসুর খালাস করে দিল আদালত।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)