শ্যামবাজারের ফুটপাথ থেকে উত্তরপ্রদেশে পাচার করে দেওয়া হয় ওই নাবালিকাকে। (ছবি প্রতীকী)
কলকাতা: উত্তরপ্রদেশে এক নাবালিকাকে পাচার এবং সেখানে তাকে অর্কেস্ট্রার সঙ্গে অশ্লীল নাচ নাচতে বাধ্য করার অপরাধে শহরের এক আদালত শুক্রবার দুই ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল। দায়রা আদালতের বিচারপতি লীলাময় মণ্ডল এই অপরাধের জন্য ওই দুই অভিযুক্তকে সর্বোচ্চ সাজা দেওয়ার নিদান দেন। তাদের মধ্যে একজন ওই নাবালিকাকে উত্তরপ্রদেশে পাচার করেছিল। আরেকজন তাকে বাধ্য করেছিল অর্কেস্ট্রার সামনে অশ্লীল নাচ নাচার জন্য। নাবালিকাকে পাচার করার শাস্তি ১০ বছর থেকে যাবজ্জীবন কারাবাস পর্যন্ত হতে পারে। তার সঙ্গেই দিতে হয় মোটা অঙ্কের জরিমানা। রাহুল ঘোষ ও সুরেশ গুপ্ত নামে ওই দুই অভিযুক্তকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি দেওয়া ছাড়াও ১০ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়। অন্যথায় আরও ৬ মাস জেল।
শ্যামবাজারের ফুটপাথে নিজের পরিবারের সঙ্গে থাকে ওই নাবালিকা। তাকে রাহুল ঘোষ প্রস্তাব দেয় উত্তরপ্রদেশে কাজ করার। সেই প্রস্তাবে নিজেদের ভয়ঙ্কর দারিদ্র্যের দিকে চেয়েই রাজি হয়ে যায় ওই নাবালিকার পরিবার। কিন্তু, ওই নাবালিকাকে যখন ট্রেনে করে নিয়ে যাচ্ছিল রাহুল ঘোষ, সেইসময়ই কিছু একটা আন্দাজ করে ট্রেন থেকে নেমে পালানোর চেষ্টা করেছিল ওই নাবালিকা।কিন্তু, সে ব্যর্থ হয়।
তাকে জোর করে উত্তরপ্রদেশের দেওরিয়া সদরের রামচন্দ্রপুরে নিয়ে যায় রাহুল ঘোষ। সেখানে তাকে ডান্স বারের মালিক সুরেশ গুপ্ত'র কাছে বিক্রি করে দেয়। নাবালিকার পরিবার ততদিনে উল্টোডাঙা থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করে।
এক সমাজকর্মীর কাছ থেকে নাবালিকার পরিবার জানতে পারে যে, তাদের মেয়ে রয়েছে দেওরিয়া সদরে। সেখানে মেয়েকে আনতে গেলে ডান্স বারের মালিক তাদের মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে ভয় দেখায়।
তারপরই ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর দেওরিয়া সদরের গিয়ে ওই নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)