গিরিয়াক থানার পুরন বিগহ গ্রামের ঘটনা এটি।
পাটনা: শ্লীলতাহানী করতে বাধা দিয়েছিল বিহারের নালন্দা জেলার এক দলিত মহিলা। সেই ‘অপরাধ’-এর জন্য তাকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দিল এক ব্যক্তি। ওই ঘটনায় অভিযুক্ত ওই ব্যক্তিকে মঙ্গলবার গ্রেফতার করল পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, পাটনা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া ওই অগ্নিদগ্ধ মহিলার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তার বয়ানের ওপর ভিত্তি করেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। নালন্দা জেলার গিরিয়াক থানার অধীনে পুরন বিগহ গ্রামের ঘটনা এটি। গ্রামবাসীদের বক্তব্য ছিল, পুনিয়া দেবী নামের ওই মহিলা তার স্বামী শঙ্কর মানঝির সঙ্গে কলহে জড়িয়ে পড়ার পর রাগের মাথায় নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। কিন্তু, পুলিশ গ্রামবাসীদের বক্তব্যকে নস্যাৎ করে দিয়ে গ্রেফতার করেছে ওই ব্যক্তিকে।
ওই অঞ্চলের ভারপ্রাপ্ত এসপি বলেন, গ্রামবাসীরা দাবি অনুযায়ী, পুনিয়া দেবী নিজের গায়ে আগুন দিয়ে দেওয়ার পর তার স্বামী বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। ওই সময়েই তার প্রবল চিৎকার শুনে প্রতিবেশি রঞ্জিৎ চৌধুরী একটি মোটা কম্বল নিয়ে ওই বাড়িতে দৌড়ে ঢুকে পুনিয়া দেবীকে বাঁচানোর উদ্দেশ্যে তার জ্বলন্ত দেহে কম্বল চাপা দিয়ে দেন। এর ফলে রঞ্জিৎ-এর হাতেও আগুন লাগে বলে জানা গিয়েছে।
যদিও, হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে অগ্নিদগ্ধ পুনিয়া দেবী জানায় ঠিক এর বিপরীত কথা। তার বয়ান অনুযায়ী, রঞ্জিৎ চৌধুরী তার সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতে চাইলে সে অস্বীকার করে। তখনই সে পুনিয়া দেবীকে জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।
পুনিয়া দেবীর অভিযোগ অনুয়ায়ী, ওই ঘটনার আরও চার সাহায্যকারী হিসেবে দিনা মানঝি, সুনয়না দেবী, রামদেব মানঝি ও গুড্ডু মানঝির নামে এফআইআর করা হয়েছে বলেও জানান এসপি।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদিত করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে.)