ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান স্বয়ং ডিজিপি
শিমলা: চলন্ত গাড়ির মধ্যেই ধর্ষণ করা হল এক ১৯ বছরের যুবতীকে। ঘটনাটি ঘটেছে শিমলায়। বুধবার এই কথা জানালেন শিমলার এক পুলিশ আধিকারিক। মঙ্গলবার আদালতের সামনে নিজের বয়ান প্রত্যাহার করে নেন ওই ধর্ষিতা। রবিবার শিমলার ধল্লি থানায় ওই ধর্ষিতা অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। সেই অভিযোগে স্পষ্টভাবে লেখা ছিল যে, তাঁকে প্রথমে অপহরণ করে তারপর ধর্ষণ করা হয়। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক ওই পুলিশ আধিকারিক এই কথা জানান। ধর্ষণ করার পর ওই মহিলাকে ফেলে চলে যায় অভিযুক্তরা। স্থানীয়রা মানুষরা সেখান থেকে তাঁকে উদ্ধার করেন। ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান শিমলার ডিজিপি এস আর মার্ডি। তিনি সব দেখাশোনার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "আমরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ সূত্র পেয়েছি। এখন এই তদন্তপ্রক্রিয়া একটি জরুরি জায়গায় রয়েছে"।
স্ত্রী ও ৩ সন্তানকে হত্যা করে পালানো ইঞ্জিনিয়ারকে খুঁজছে পুলিশ
এই ধর্ষণের ঘটনাটির খবর প্রকাশ্যে আসার পর গোটা হিমাচলপ্রদেশ জুড়েই হইচই পড়ে যায়। ধর্ষিতা আদালতের সামনে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেওয়ায় ঝড় উঠেছে আরও। প্রশ্ন উঠছে, কোনও চাপের কাছে নতিস্বীকার করতে হল কি তাঁকে? তা হলে, সেটি কার বা কাদের থেকে আসা চাপ? কী ধরনের চাপ? ভরা লোকসভা নির্বাচনের সময়ে সাধারণের মানুষের মনে ক্ষোভের আগুন জ্বলে উঠুক, তা কোনও সরকার এবং শাসক দলের কাছেই কাম্য নয়। এই ঘটনার তদন্ত অতি দ্রুত শেষ করে অপরাধীদের গ্রেফতারের নির্দেশ দিয়েছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী জয় রাম ঠাকুর। এছাড়া, ঘটনার তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্তকারি দল বা স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (সিট) গঠন করা হয়েছে।
বাবা'র পথে সন্তানও, ধর্ষণের দায়ে যাবজ্জীবন আশারাম বাপু'র ছেলের
সংবাদসংস্থা পিটিআই'কে শিমলার পুলিশ সুপার ওমপতি জামওয়াল বলেন, ৮ জন সদস্যের বিশেষ তদন্তকারি দলটির নেতৃত্বে রয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পরভির ঠাকুর। তিনি আরও বলেন, "এই মামলাটি আমরা অতি দ্রুত আইনিপথেই শেষ করব"।
তাঁর অভিযোগে ওই মহিলা জানান, গত রবিবার তিনজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি তাঁকে রাত ১০'টা নাগাদ অপহরণ করে ধল্লি টানেল থেকে ভাট্টাকুফের পর্যন্ত টানা দেড় কিলোমিটার পথ ধর্ষণ করে ওই গাড়ির মধ্যেই।
মায়ের সামনেই বাইশ বছরের মেয়েকে ধর্ষণ করল দুই দুষ্কৃতী
বুধবার পুলিশের পক্ষ থেকে একটি প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয় যে, ওই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খুঁটিয়ে পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। কিন্তু, ওই মহিলাকে অপহরণ করা হয়নি। তাঁকে রাস্তায় হাঁটতে দেখা যাচ্ছে কিন্তু অপহরণ বা ধর্ষণের কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যানি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হিমাচল প্রদেশের কংগ্রেস মুখপাত্র নরেন্দ্র কানওয়ারের দাবি, হাইকোর্টের বিচারপতির তত্ত্বাবধানে এই তদন্তপ্রক্রিয়াটি সংঘটিত হোক।