AIIMS: সব আশঙ্কাকে দূরে ঠেলে একবারে সুস্থ বাচ্চার জন্ম দিলেন করোনা আক্রান্ত মা (প্রতীকী চিত্র)
হাইলাইটস
- করোনা পজিটিভ মা-বাবার সদ্য জন্মানো শিশুটি করোনা নেগেটিভ
- খুশির হাওয়া দিল্লির এইমস হাসপাতালে, খুশি ওই পরিবারও
- তবে দেশে যেভাবে করোনা সংক্রমণ বাড়ছে তাতে চিন্তায় সকলেই
নয়া দিল্লি: করোনা সংক্রমণ (Coronavirus) এড়াতে চারদিকে চলছে লকডাউন। কিন্তু এই লকডাউন পরিস্থিতির মধ্যেই নতুন অতিথির আগমনে মুখে হাসি ফুটলো দিল্লির এক পরিবারে। না, শুধু নবজাতকের জন্মের জন্যেই যে ওই খুশি তা নয়। আসলে স্বস্তির খবর এটাই যে সদ্য জন্মানো শিশুটির মা (Corona Positive Mother) ও বাবা, দুজনের শরীরেই COVID-19 পজিটিভ ধরা পড়া সত্ত্বেও সুস্থই জন্মেছে সে। এর আগে গর্ভবতী অবস্থায় যখন করোনা আক্রান্ত ওই মহিলাকে দিল্লির এইমস (AIIMS) হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তখন টেনশনে ছিলেন সেখানকার অভিজ্ঞ চিকিৎসকরাও। সারাক্ষণই কী হয়, কী হয় ভাব। কিন্তু মিরাকেল ঘটিয়ে করোনা পজিটিভ বাবা-মায়ের সদ্যজন্মানো সন্তান হল করোনা-নেগেটিভ। এক ঝলক তাজা হাওয়া যেন বয়ে গেল হাসপাতালের অভ্যন্তরেও। শুক্রবার গভীর রাতে একেবারে সুস্থ ওই শিশুর জন্ম হল। সুসংবাদ শুনে হাসি ফুটল করোনা পজিটিভ চিকিৎসক বাবার মুখেও।
মাস্ক ও স্যানিটাইজার চাওয়ায় হাত-পা ভেঙে দেওয়ার হুমকি, ভিডিও শেয়ার করলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধি
আসলে গোটা দেশে ক্রমশই করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ছে, বাদ যাচ্ছেন না চিকিৎসকরাও। এখনও পর্যন্ত ৫০ জনেরও বেশি চিকিৎসক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। যে শিশুটির জন্ম হয়েছে তার বাবা-মা দুজনেই পেশায় চিকিৎসক। করোনা আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করতে করতে তাঁদের দেহেও কখন যেন অজান্তেই বাসা বেঁধেছিল ওই ভয়ঙ্কর ভাইরাস। এদিকে ৯ মাসের গর্ভবতী ছিলেন মহিলা চিকিৎসক। ফলে বাবা-মা দু'জনের শরীরেই করোনা পজিটিভ ধরা পড়ায় চিন্তায় ছিলেন অন্য চিকিৎসকরাও। অনেকেই আশঙ্কা করছিলেন যে হয়তো করোনার জীবাণু শরীরে নিয়েই জন্ম হবে শিশুটির। কিন্তু স্বস্তির কথা এই যে, সকলের সব ভয়কে মিথ্যে প্রমাণ করে একেবারে সুস্থ অবস্থায় জন্মেছে ওই শিশু।
ভারতে ২৯০০ পেরোলো করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, একদিনে নতুন আক্রান্তের রেকর্ড, মৃত ৬৮
এখনও পর্যন্ত দিল্লির ৯ জন চিকিৎসক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। বুধবারও সফদরজং হাসপাতালের দুই আবাসিক চিকিৎসকের শরীরে করোনা ভাইরাস থাকার প্রমাণ মিলেছে। জানা গেছে যে হাসপাতালে COVID-19 রোগীদের চিকিৎসা করার সময়েই একজন চিকিৎসক ওই রোগে সংক্রামিত হন। আর তাঁর থেকেই ওই রোগ ছড়ায় বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগে স্নাতকোত্তর কোর্সে তৃতীয় বর্ষে পাঠরতা একজন মহিলা আবাসিক চিকিৎসকের শরীরে। ওই দু'জনকেই দিল্লির সফদরজং হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।