This Article is From Feb 15, 2019

ওরা 'ক্লাস' করে, 'টিন'-ভুবনের পারে, জানুন হায়দরাবাদের এক অদ্ভুত স্কুলের কথা

হায়দরাবাদের সরকারি স্কুলটির অবস্থা তথৈবচ। ভেঙে পড়েছে স্কুলের একাংশ। কিছুই নেই আর স্কুলটির। কেবল মাথার ওপর রয়েছে একটি টিনের ছাউনি। টিমটিম করে টিকে আছে সেটা।

ওরা 'ক্লাস' করে, 'টিন'-ভুবনের পারে, জানুন হায়দরাবাদের এক অদ্ভুত স্কুলের কথা

অন্য স্কুলে তাদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা হয়েছিল, কিন্তু ওরা রাজি হয়নি

হাইলাইটস

  • ২০১২ সালে স্কুল ভবনের অবস্থা খুব বিপজ্জনক হয়ে পড়ে
  • পড়ুয়াদের নিয়ে স্কুলের পিছন দিকে টিনের ছাদের তলায় পড়াশোনা চলছে
  • স্কুলটি ১৯৫০ সালে তৈরি করা হয়েছিল
হায়দরাবাদ:

হায়দরাবাদের সরকারি স্কুলটির অবস্থা তথৈবচ। ভেঙে পড়েছে স্কুলের একাংশ। কিছুই নেই আর স্কুলটির। কেবল মাথার ওপর রয়েছে একটি টিনের ছাউনি। টিমটিম করে টিকে আছে সেটা। তবু, এ টিন আজি সেই ঘরে গো খুলে দিল দ্বার। যে দ্বার দিয়ে ঢোকে অল্প অল্প আলো। সে আলো শিক্ষার। সেই আলো নিজেদের মুখ, কাঁধ, মাথায় নিয়েই পড়াশোনা করে চলেছে একাগ্রভাবে উর্দু মিডিয়াম স্কুলটির পড়ুয়ারা। বহুদিন ধরেই এই স্কুলের অবস্থা এমনই যে, ক্লাস করার কথা ভাবাই যায় না। তবু, ওই একরকম জেদ আছে না? যে জেদের বসে রাস্তা তৈরির জন্য একার হাতে কুড়ুল নিয়ে পাহাড় ভাঙতে বসে কেউ কেউ, তেমনই এক জেদ নিয়েই এই স্কুলে পড়াশোনা চালিয়ে যায় বোরখা পরা পড়ুয়ারা। এই স্কুলের নাম হুমায়ুন নগর গভর্নমেন্ট হাইস্কুল। সংবাদসংস্থা এএনআইকে  ওই স্কুলে বর্ষীয়ান সহকারী তথা ইনচার্জ বলেন, ২০১২ সাল থেকেই এই স্কুলের কাঠামোটির অবস্থা এরকমই। তারপর থেকেই ক্রমে আরও খারাপ হতে থাকে। সেই সময় হায়দরাবাদের তৎকালীন ডিইও আমাদের বলেন প্রাথমিকের ক্লাস হবে সকালে এবং হাইস্কুলের পড়ুয়াদের ক্লাস হবে বিকেলে। পুরোটাই এই টিনের তলায়।

১৯৫০ সালে তৈরি হওয়া এই স্কুলটির ভবনের অবস্থা যে ভগ্নপ্রায় তা নিয়ে বৃহত্তর হায়দরাবাদ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনও নোটিশ জারি করে দিয়েছিল বছরখানেক আগে।

ডিইও নির্দেশ দিয়েছিলেন, এই পড়ুয়াদের অন্য সরকারি স্কুলে স্থানান্তরিত করা হোক। কিন্তু আপত্তি জানিয়েছিলেন অভিভাবকরাই। কারণ, ওই অঞ্চলে আর অন্য কোনও উর্দু মিডিয়াম স্কুল নেই। এটা বন্ধ হয়ে গেলে পুরোটাই শূন্য হয়ে যাবে।

তার মধ্যেই ওরা ক্লাস করে। 'টিন'-ভুবনের পারে। ওরা, যারা আক্ষরিক অর্থেই 'টিন'-এজার। আজকের টিন,কালকের তলোয়ার...তাই তো আমরা ওদের ব্লাইন্ড ফলোয়ার...



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.