This Article is From Mar 01, 2020

করোনা আক্রান্ত মালয়েশিয়া থেকে কেরলে ফিরে মৃত্যু এক ভারতীয় নাগরিকের

করোনা আক্রান্ত মালয়েশিয়া থেকে কেরলে ফিরে মৃত্যু হল এক ভারতীয় নাগরিকের।

করোনা আক্রান্ত মালয়েশিয়া থেকে কেরলে ফিরে মৃত্যু এক ভারতীয় নাগরিকের

করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চিনের উহান শহর। বিশ্বের ২০টি দেশে করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছে।

হাইলাইটস

  • করোনা আক্রান্ত মালয়েশিয়া থেকে কেরল ফিরে মৃত্যু এক ভারতীয় নাগরিকের
  • একাধিক ব্যাধি নিয়ে এরনাকুলামের এক হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি
  • তাঁর রক্তে করোনার অস্তিত্ব মেলেনি। নিশ্চিত হতে আরও নমুনা পাঠানো হয়েছে
নয়া দিল্লি:

করোনা আক্রান্ত মালয়েশিয়া (Coronavirus-hit Malaysia) থেকে কেরলে ফিরে মৃত্যু হল এক ভারতীয় নাগরিকের। সে দেশ থেকে অসুস্থ হয়ে কোচি (Kochi) ফিরলে, চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় সেই যুবকের। রবিবার জানিয়েছে এরনাকুলামের এক হাসপাতাল। জানা গিয়েছে, একাধিক ব্যাধি নিয়ে এরনাকুলামের এক হাসপাতালে সতর্কতামূলক পর্যবেক্ষণ হিসেবে ভর্তি করা হয়েছিল সেই যুবককে। চলছিল তাঁর চিকিৎসাও। হাসপাতাল সূত্রে খবর মৃতের রক্ত পরীক্ষা করে করোনার (Virus) অস্তিত্ব মেলেনি। তবে, আরও নিশ্চিত হতে তাঁর শরীরের কিছু নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে। মালয়েশিয়াতে এযাবৎকাল ২৫ জনের দেহে করোনার অস্তিত্ব মিলেছে। চিনে এই ভাইরাসে মৃত বেড়ে ২ হাজার ছাড়িয়েছে। আক্রান্ত প্রায় ৮০ হাজার। এরনাকুলাম হাসপাতাল সূত্রে খবর, নিউমোনিয়া ও শ্বাসজনিত অসুখ নিয়ে ভর্তি হয়েছিলেন ওই যুবক (A Kerala Man)। তিনি ডায়াবেটিক রোগী ছিলেন। 

দিল্লিতে প্রাণ বাঁচাতে একতলা থেকে লাফ ২ শিশুর, হামলাকারীদের নিশানা থেকে পালানোর লড়াই বৃদ্ধার

কেরলে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে তিন জনকে বিশেষ পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছিল। কিন্তু নমুনা পরীক্ষার পর তাঁদের দেহে ভাইরাসের অস্তিত্ব মেলেনি। তাই ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল ওই তিন জনকে। পাশাপাশি উহান থেকে দেশে ফেরা প্রায় ৪০০ জনকে মানেসারের বিশেষ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে রাখা হয়েছিল ২ সপ্তাহ। তাঁদের নমুনাতে ভাইরাসের অস্তিত্ব না মেলায়, ছাড় পেয়েছেন ওই ৪০০ জন। 

৪ দিন ধরে কেন চলল হিংসা, দিল্লি পুলিশের কল রেকর্ড ঘেঁটে মিলছে সূত্র

শুক্রবারই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু, একে বিপর্যয় ঘোষণা করে অনিয়ন্ত্রিত আখ্যা দিয়েছে। কারণ সাহারা মরুভুমি এলাকাতেও ছড়িয়েছে এই ভাইরাস। বিশ্বব্যাপী মন্দা বাজারের নেপথ্যেও এই ভাইরাস। একমাত্র মেরু অঞ্চল ছাড়া এই গ্রহের প্রায় সব মহাদেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে। উত্তর কোরিয়াতে আবার এই ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে ভাইরাস আক্রান্তদের গুলি করে মারার নিদান দিয়েছেন সে দেশের প্রশাসক কিম জং উন। বড় জমায়েত এবং করোনা আক্রান্ত দেশ সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে কয়েকটি রাষ্ট্র। অনিশ্চিত টোকিও অলিম্পিকের ভবিষ্যৎ। হু এবং চিনা স্বাস্থ্য মন্ত্রকের যৌথ গবেষণা দাবি করেছে, মানব-মানব দেহে এই ভাইরাস দ্রুত ছড়াচ্ছে। ফলে আক্রান্ত হচ্ছে পরিবার। 

৪-৫ দিনের মধ্যেই করোনা উপসর্গ ধরা পড়ছে। সেই সময় থেকে চিকিৎসা শুরু করলে অনেক ক্ষেত্রে রোগীকে সারিয়ে তোলা সম্ভব হয়েছে। দাবি করেছে ওই যৌথ গবেষণা। তবে প্রবীণ নাগরিক, বয়স ৬০-এর উপরে এবং যারা হাইপার টেনশন সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য এই ভাইরাস অত্যন্ত মারাত্মক এবং মৃত্যুর কারণ। 

(পিটিআই থেকে সংগৃহীত) 

.