ফরাসি বিপ্লবের সময় এই গির্জার ভিতরে থাকা বহু স্থাপত্য ও চারুকলা ধ্বংস করে দেওয়া হয়।
প্যারিস: ১৮৩১ সালের ১৬ মার্চ যখন বিখ্যাত ফরাসি ঔপন্যাসিক ভিক্টর হুগোর নতুন উপন্যাস ‘হাঞ্চব্যাক অব নতরদাম' প্রকাশিত হচ্ছে, সেই সময় প্যারিসের বিখ্যাত নতরদাম গির্জার (Notre-Dame Cathedral) বয়স, গির্জা বানানোর জন্য একদম প্রথম পাথরটি স্থাপন করার সময়টি নিয়ে ধরলে পাক্কা ৬৬৮ বছর। ১৩৪৫ সালে এই গির্জা (Notre-Dame Cathedral) বানানোর কাজটি সমাপ্ত হয়। যা বানানোর প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছিল, তার ১০০ বছরেরও বেশি সময় আগে। রাজা লুই-এর আমলে। ১১৬৩ খ্রিস্টাব্দে। ১০০ বছরের বেশি সময় ধরে বানানো এই বিশাল ঐতিহ্যমণ্ডিত গির্জাটি প্রকৃত অর্থেই পৃথিবীর স্থাপত্যের ইতিহাসের এক অনিবার্য দলিল (Notre-Dame Cathedral) শতকের পর শতক ধরে বহু বিপদের সম্মুখীন হয়েছিল ৬৯ মিটার বা ২২৬ ফুট উচ্চতার এই গির্জা। ফরাসি বিপ্লবের সময় ১৭৯০ সাল নাগাদ এই গির্জার ভিতরে থাকা বহু স্থাপত্য ও চারুকলা একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া হয়। ‘হাঞ্চব্যাক অব নতরদাম' (Notre-Dame Cathedral) প্রকাশিত হওয়ার পর মধ্যযুগে স্থাপিত এই ক্যাথলিক গির্জাটি (Notre-Dame Cathedral) সম্বন্ধে সাধারণ মানুষও ক্রমশ আগ্রহান্বিত হয়ে উঠতে থাকেন।
সেই গির্জাতেই (Notre-Dame Cathedral) ভয়াবহ আগুন লেগে গেল আজ। সোমবার। সোশ্যাল মিডিয়ায় আসা ছবি ও ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, তর্কযোগ্যভাবে, ইউরোপের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থাপত্যটির মধ্য দিয়ে গলগল করে বেরিয়ে আসছে আগুন লাগা পরবর্তী ধোঁয়া।
দমকল বাহিনীর অজস্র গাড়ি চলে এসেছে ঘটনাস্থলে এই আগুন নেভানোর জন্য। প্যারিসের মেয়র অ্যানে হিদালগো টুইট করে এই গির্জার বর্তমান অবস্থার বর্ণনা দিতে গিয়ে লিখেছেন দুটি শব্দ- ‘ভয়াবহ আগুন'।
সামান্য বচসার জের, তিনজনকে কুঠার দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করল এক নাবালক
গোটা প্যারিসের প্রার্থনা, আগুন যেন নিভে যায় খুব তাড়াতাড়ি। আবার যেন নতরদামের গির্জা ফিরে আসে স্বমহিমায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলাবলি করছেন, এই প্রার্থনাকারীদের মধ্যে কোথাও গিয়ে রয়ে গিয়েছে ‘হাঞ্চব্যাক অব নতরদামের' নায়ক কোয়াসিমোদোও।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)