মৃতের দেহাংশ ফরেনসিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
সেকেন্দরাবাদ: বাবাকে খুন করে তাঁর শরীর খণ্ড খণ্ড করে কেটে আটটি বালতিতে ভরল ছেলে। তাকে সাহায্য করতে জোর করল মা ও বোনকে। এমনই ভয়াবহ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে তেলেঙ্গানার (Telengana) সেকেন্দরাবাদের (Secunderabad) মালকাজগিরি অঞ্চলে। অভিযুক্ত ৩৯ বছরের কিষান পলাতক। মৃতের নাম মারুতি কিষান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮০। তিনি রেলের প্রাক্তন কর্মী ছিলেন। কিষান কোনও কাজ করত না। বাবার সঙ্গে প্রায়ই টাকা নিয়ে ঝগড়া হত। মনে করা হচ্ছে, খুনের দিনও ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছিল ঝগড়া থেকেই।
পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার সন্দীপ গোনে জানিয়েছেন, ‘‘অভিযুক্ত বিষাক্ত ধুতুরা ফুল মিশিয়ে দেয় অভিযুক্তর পানীয়তে। উদ্দেশ্য এর ফলে গাঢ় ঘুম হবে। শুক্রবার অনেকটা ধুতুরা ফুল সে মিশিয়ে দেয় বাবার পানীয়তে। ফলে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এরপর রান্নাঘরের ছুরি দিয়ে কিষান তার বাবাকে টুকরো টুকরো কেটে ফেলে।''
ধর্ষণের মামলায় রেহাই নয়, ‘তহেলকা'র সম্পাদকের আবেদন খারিজ শীর্ষ আদালতে
অভিযুক্তর মা ও বোন স্বীকার করেছেন, তাঁরাও অনিচ্ছাবশত এই কাজে তাকে সাহায্য করেছেন। ভয় দেখিয়ে তাঁদের কাজ করানো হয় বলে অভিযোগ। পাশাপাশি প্রতিবেশীদের কাউকে কিছু জানাতেও নিষেধ করে সে। অভিযুক্ত মদের নেশা করত ও নিয়মিত পরিবারের উপর অত্যাচার করত বলে জানা গিয়েছে।
মারুতি কিষানের চার সন্তান। দুই ছেলে ও দুই মেয়ে। বড় ছেলে ছোটবেলা থেকে নিখোঁজ। এক মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে সস্ত্রীক বাস করতেন তিনি।
খুনের দু'দিন পরে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। প্রতিবেশীরা তাদের বাড়ি থেকে পচা গন্ধ পায়। কী হয়েছে বোঝার চেষ্টা করেও কিছু বুঝতে না পারায় শেষ পর্যন্ত তারা খবর দেয় পুলিশে।
পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চমকে ওঠে। আটটি বালতিতে রাখা মৃতের মাথা, হাত, পা এবং শরীরের অন্যান্য অংশ খুঁজে পায় তারা। অভিযুক্ত কিষান দেহটি খণ্ড খণ্ড করে কেটেও সেটি বাইরে লুকিয়ে রাখার সুযোগ পায়নি। তার ভয় ছিল, যদি প্রতিবেশীরা দেখে ফেলে।
মৃতের দেহাংশ ফরেনসিক তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।