গরু নিয়ে ফের ঝামেলা। তার ফলে নৃশংসভাবে প্রহার করা হল মধ্যপ্রদেশের এক ব্যক্তিকে। মধ্যপ্রদেশের রাইজেন গ্রামে এক পরিবারের পাঁচজন সদস্য মিলে গাছের সঙ্গে বেঁধে ওই ব্যক্তির দু’খানা হাত কেটে নেন। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়েছে দুজনকে। রবিবার সত্তু যাদবের গোয়ালে গিয়েছিলেন প্রেম নারায়ণ সাহু। গত শুক্রবার থেকেই সত্তু যাদবের গোয়াল থেকে কয়েকটি গরু নিখোঁজ ছিল। ঘটনা হল, প্রেম নারায়ণ সাহুকে দেখার পরেই সত্তু যাদব তাঁর সঙ্গে বচসা শুরু করে দেন। কর্তব্যরত পুলিশ অফিসার রাজেন্দ্র কুমার ধুর্বে জানান, “সত্তু যাদবের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া গরুদের খোঁজ করতে গিয়েই বিপদের মুখে পড়েন প্রেম নারায়ণ সাহু। শুরু হয় বচসা এবং একে অপরকে দোষারোপ”।
তা চলতে চলতেই প্রেম নারায়ণ সাহুকে ধরে প্রবল মারধর করতে থাকে সত্তু যাদবের পরিবারের সদস্যরা। প্রাণভয়ে চিৎকার করতে থাকেন প্রেম নারায়ণ সাহু। কিন্তু গ্রামবাসীদের কেউই বাঁচাতে আসেননি তাঁকে।
প্রতিবেশিরা সব জানাজানি হওয়ার পর পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ এসে হাসপাতালে নিয়ে যায় তাঁকে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে প্রচুর রক্ত পড়ে ছিল। এই মুহূর্তে ভোপালের একটি হাসপাতালে শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি।
রাজেন্দ্র কুমার ধুর্বে বলেন, “আমরা এখনও পর্যন্ত পাঁচজনের মধ্যে দু'জনকে পাকড়াও করতে পেরছি। এখনও বাকি তিনজনকে পাওয়া যায়নি। তাদের মধ্যে একজন মহিলা”।
ওই পরিবারের বিরুদ্ধে খুন করার চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।