Read in English
This Article is From Oct 20, 2018

রেললাইনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষদের বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ হারাল রামলীলার 'রাবণ'

দশেরাতে রাবণ সেজে ময়দান মাতিয়ে রেখেছিলেন দলবীর সিং। শুক্রবার সন্ধে সাতটার পর রাবণের কুশপুতুল পোড়ানো দেখবেন বলে প্রস্তুত হচ্ছিলেন।

Advertisement
অল ইন্ডিয়া Translated By

রামলীলায় 'রাবণ' সেজেছিলেন দলবীর সিং।

অমৃতসর:

দশেরাতে রাবণ সেজে ময়দান মাতিয়ে রেখেছিলেন দলবীর সিং। শুক্রবার সন্ধে সাতটার পর রাবণের কুশপুতুল পোড়ানো দেখবেন বলে প্রস্তুত হচ্ছিলেন। ভালো করে যাতে পুরো প্রক্রিয়াটা দেখা যায়, তার জন্য জোদা ফাটকের দিকটায় যাচ্ছিলেন তিনি। ওই সময়ই দেখতে পান প্রবল গতিতে ছুটে আসছে একটা ট্রেন। ছুটে আসছে সেই জায়গার দিকে যেখানে শয়ে শয়ে মানুষ দাঁড়িয়ে আছে রাবণবধ দেখার আশায়। তাদের সতর্ক করার জন্যই ছুট লাগান দলবীর সিং। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। চলন্ত ট্রেনের চাকার তলায় পড়ে যান তিনি। গতকাল অমৃতসরের এই ভয়াবহ ট্রেন দুর্ঘটনায় যে একষট্টি জন মারা গিয়েছে, তাদের মধ্যে তিনিও একজন।

ঘটনার আকস্মিকতায় স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে তাঁর পরিবার। তাঁর মা, অল্পবয়সী, স্ত্রী এবং ভাই রয়েছেন। প্রত্যেকেই এই ঘটনার পর ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন শোকে। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে রামলীলায় বিভিন্ন চরিত্রে সাজছেন তিনি। তাঁর মা জানান, গতকাল তাড়াতাড়ি বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। তাঁর দুই বন্ধু রাম আর লক্ষ্মণ সেজেছিল, তাঁদের সাহায্যের জন্যই তাড়াতাড়ি বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন দলবীর।  

“গত কুড়ি বছরেরও বেশি সময় ধরে রামলীলা দেখার জন্য আশেপাশের গ্রামগুলো থেকে মানুষ এসে জোদা ফাটকে একজোট হয়। রেললাইনের থেকে বড়জোর পঞ্চাশ মিটার দূরত্ব ওই ময়দানের”, বলছিলেন দলবীর সিং-এর মা সাওয়ান কৌর। পাশের বসেছিলেন তাঁর স্ত্রী। আটমাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে বসেছিলেন তিনি। কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন সাওয়ান কৌর, “সরকারের কাছে আমি আবেদন করব, আমার পুত্রবধূকে যেন একটি চাকরি দেওয়া হয়”।

Advertisement

ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত স্থানীয় মানুষরা জানিয়েছেন, বাজির প্রচণ্ড আওয়াজে ট্রেনের হর্নের শব্দ কেউ শুনতে পারেনি।  

Advertisement