বোনা বাজার এলাকায় গুলির লড়াই চলার পরে খতম জঙ্গি
হাইলাইটস
- গুলির লড়াইয়ে খতম এক ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ জঙ্গি
- নিহত জঙ্গির নাম মুন্না লাহোরি
- বোনা বাজারের এনকাউন্টারে ওই জঙ্গি মারা যায়
নয়াদিল্লি: জম্মু ও কাশ্মীরে (J&K) গুলির লড়াইয়ে খতম এক ‘মোস্ট ওয়ান্টেড' (Most Wanted) জঙ্গি (Terrorist)। জঙ্গি সংগঠন জৈশ-ই-মহম্মদের (Jaish-e-Mohammed) এক জঙ্গি নেতা শনিবার শোপিয়ানের বোনা বাজারে এনকাউন্টার চলাকালীন গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। জানা গিয়েছে, নিহত জঙ্গির নাম মুন্না লাহোরি। দক্ষিণ কাশ্মীর এলাকার ওই জঙ্গি নেতা সেনাবাহিনীর উপরে দু'টি গাড়ি বোমা হামলার সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও বহু সাধারণ নাগরিকের হত্যার দায়ে অভিযুক্ত ছিল সে। জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ চিফ দিলবাগ সিংহ জানিয়েছেন, ‘‘৩০ মার্চ বানিহালে হওয়া সেনা কনভয়ের উপরে গাড়িবোমা বিস্ফোরণে ও যুক্ত ছিল। এছাড়া গত মাসে আরিহাল পুলওয়ামায় সেনার গাড়িতে গাড়ি বোমা হামলাতেও যুক্ত ছিল এই জঙ্গি।''
এক পুলিশ আধিকারিক জানান, পুলিশ নির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে দক্ষিণ কাশ্মীর জেলার বোনা বাজারে জঙ্গির সন্ধানে তল্লাশি চালায়। এরপরই জঙ্গিরা ওই তল্লাশি বাহিনীর উপরে গুলি চালাতে থাকে। শুরু হয় এনকাউন্টার।
অজিত ডোভাল কাশ্মীর থেকে ফিরতেই জম্মু ও কাশ্মীরে বাড়তি সেনা মোতায়েন কেন্দ্রের
সরকারি তথ্য অনুসারে, গত পাঁচ বছরে ৯৬০ জন জঙ্গিকে খতম করা গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরে। লোকসভায় একটি আলোচনার সময় স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি সম্প্রতি জানান, নিরাপত্তা বাহিনী জঙ্গিদের উপরে অতি-সক্রিয় পদক্ষেপ করছে। সন্ত্রাসবাদ বিষয়ে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স' নীতির কারণেই এই অতি সক্রিয়তা।
ভবন ধ্বংস করতে পারে এমন বোমা ব্যবহার করা উচিত ছিল, বালাকোট হামলা নিয়ে বললেন বায়ুসেনা প্রধান
একটি লিখিত প্রশ্নের উত্তরে রেড্ডি জানান, ‘‘সুপরিকল্পিত অভিযানে জম্মু ও কাশ্মীরে ২০১৪ সাল থেকে ২০১৯ সালের জুন পর্যন্ত ৯৬৩ জন জঙ্গিকে মারা সম্ভব হয়েছে। তবে এই অভিযানের ফলে ৪১৩ জন নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যকেও তাঁদের প্রাণ হারাতে হয়েছে।''
তিনি এও বলেন, গত দশকের তুলনায় কাশ্মীরে জঙ্গি হানার ঘটনা ৮৬ শতাংশ কমে গিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ১ এপ্রিল, ২০০৯ থেকে ৩০ জুন, ২০১৯— সময়সীমার মধ্যে জঙ্গি হানার ঘটনার পরিমাণ অনেক কম যদি তার আগের দশকের হিসেব করা যায়।