This Article is From Jul 29, 2019

ডাকাতিতে বাধা, পিটিয়ে মারা হল অবসরপ্রাপ্ত আর্মি আধিকারিককে! প্রতিবাদে সোচ্চার প্রিয়ঙ্কা

এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সচিব প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা। তিনি বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন।

ডাকাতিতে বাধা, পিটিয়ে মারা হল অবসরপ্রাপ্ত আর্মি আধিকারিককে! প্রতিবাদে সোচ্চার প্রিয়ঙ্কা

মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

হাইলাইটস

  • ডাকাতি রুখতে গিয়ে মৃত্যু হল এক অবসরপ্রাপ্ত আর্মি ক্যাপ্টেনের
  • তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ
  • মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে
নিউ দিল্লি:

ডাকাতি রুখতে গিয়ে মৃত্যু হল এক ৬৪ বছরের অবসরপ্রাপ্ত আর্মি ক্যাপ্টেনের (Ex-Army Officer )। শনিবার এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আমেঠীতে। পুলিশ সূত্রে তেমনটাই জানা যাচ্ছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন কংগ্রেসের সাধারণ সচিব প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা (Priyanka Gandhi Vadra)। তিনি সে রাজ্যে বাড়তে থাকা অপরাধপ্রবণতাকে দমন করতে না পারা জন্য দায়ী করে বিজেপি সরকারকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। শনিবার রাতে কামারুলি পুলিশ থানার অন্তর্গত গোদিয়া কা পূর্বা গ্রামে একটি দোকানে ডাকাতি করতে আসে ডাকাতের দল। ওই দোকান সংলগ্ন একটি বাড়িতেই সপরিবারে থাকতেন অবসরপ্রাপ্ত আর্মি ক্যাপ্টেন আমানুল্লা। ডাকাতরা লাঠি নিয়ে তাঁকে মারধর করে বলে জানা যায়।

উত্তরপ্রদেশে গাড়ি দুর্ঘটনায় আহত হলেন উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডের নিগৃহীতা

ওইদিন রাতে বাড়িতে ছিলেন কেবল আমানুল্লা ও তাঁর স্ত্রী। পুলিশকে তাঁর স্ত্রী জানিয়েছেন, বাড়ির পাশের দোকানে কয়েকজন দুষ্কৃতীকে ডাকাতির চেষ্টা করতে দেখেন তিনি ও তাঁর স্বামী। আমানুলা ওই ডাকাতদের বাধা দেন। বলেন, তিনি পুলিশে খবর দেবেন। তখনই ওই ডাকাতের দল তাঁদের বাড়িতে ঢুকে তাঁর উপরে চড়াও হয় বলে জানা যায়।

কাঠুয়া কাণ্ডে আট জনের মধ্যে তিনজনকে যাব্বজীবনের সাজা দিল আদালত, ১০টি পয়েন্ট

পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারিটেন্ডেন্ট দয়ারাম জানাচ্ছেন, কেবল মারধর করাই নয়, তাঁকে গলা টিপেও হত্যা করার চেষ্টা করছিল ডাকাতরা। এরপরই লাঠির আঘাত এসে লাগে তাঁর মাথায়। সঙ্গে সঙ্গে তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশকে একথা জানিয়েছেন তাঁর ছেলে। তিনি আরও জানান, ঘটনার সময় তাঁদের বাড়িতে সস্ত্রীক আমানুল্লা ছাড়া আর কেউ ছিলেন না।

মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে প্রিয়ঙ্কা গান্ধি টুইট করেন। তিনি লেখেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণে নেই। রাজ্যে যখন অপরাধের মাত্রা ক্রমে বাড়ছে, তখন সরকার ব্যস্ত তাদের লুকিয়ে রাখতে।''

হিন্দিতে লেখা সেই টুইটে প্রিয়ঙ্কা প্রশ্ন তোলেন, ‘‘এটা আমার বাড়ি আমেঠীর একটি ঘটনা। উত্তরপ্রদেশের‌ বিজেপি সরকার কি এর কোনও সমাধান করতে পারবে? নাকি তারা ঘুমোতেই থাকবে ও লুকোতে থাকবে?''

আমেঠী লোকসভা কেন্দ্র দীর্ঘ সময় ধরে কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত ছিল। কিন্তু ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে সেই ঘাঁটি কংগ্রেসের হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে। বিজেপি নেত্রী স্মৃতি ইরানি প্রিয়ঙ্কা গান্ধির দাদা তথা কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিকে হারিয়ে ওই কেন্দ্রের নতুন সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।



(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)
.