This Article is From Mar 28, 2019

জয়াপ্রদার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে বিপাকে পড়লেন সপা'র নেতা

তাঁর এই ঘোর পিতৃতান্ত্রিক মন্তব্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়া।

জয়াপ্রদার বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে বিপাকে পড়লেন সপা'র নেতা

রামপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির হয়ে ভোটে লড়বেন জয়াপ্রদা।

লখনউ:

নির্বাচনে লড়াই করা মহিলা প্রার্থীদের নিয়ে বিরোধী দলের অবমাননাকর মন্তব্য এই দেশের রাজনীতিতে নতুন কিছু নয়। বিশেষ করে, সংশ্লিষ্ট মহিলা যদি রূপোলি জগতের কেউ হন, তাহলে তো কথাই নেই! সম্প্রতি, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী ও নুসরত জাহানকে নিয়েও এমন বেশ কিছু অবমাননাকর মন্তব্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়ানোর পর তাঁরা তার প্রতিবাদ করেন। এবার, এই মন্তব্যের লক্ষ্য হয়ে উঠলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া বলিউড অভিনেত্রী জয়াপ্রদা। তিনি উত্তরপ্রদেশের রামপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী। তাঁর বিরুদ্ধে মন্তব্য করে বসলেন তাঁর পুরনো দল সমাজবাদ পার্টির এক নেতা ফিরোজ খান।

'মিশন শক্তি' নিয়ে রাহুলের খোঁচার তীব্র জবাব মোদীর

বৃহস্পতিবার, সংবাদসংস্থা এএনআই ফিরোজ খানকে উদ্ধৃত করে জানায়, “রামপুর কি শামেঁ রঙ্গিন হো যায়েঙ্গি অব যব চুনাবি মহল চলেগা” (ভোটের সময় রামপুরের সন্ধেগুলো পুরো রঙিন হয়ে উঠবে)। লেখাই সঙ্গত যে, সম্ভল জেলার এই সমাজবাদী পার্টির নেতা জয়াপ্রদাকে উদ্দেশ্য করেই কথাটি বলেছেন।

তাঁর এই ঘোর পিতৃতান্ত্রিক মন্তব্যের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়া।

প্রসঙ্গত, সমাজবাদী পার্টিতে থাকাকালীন এর আগে ফিরোজ খানের বিরুদ্ধে তাঁকে হেনস্তা করার অভিযোগ এনেছিলেন জয়াপ্রদা।

p3rg52ng

তবে, শুধু এখানেই থামেননি ফিরোজ খান। বিজেপি নেত্রী সংঘমিত্রা মৌর্য তাঁর দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে বলেছিলেন, কোনওভাবেই কোনও গুন্ডাদের প্ররোচনায় পা দেবেন না। তা দিলে, আমি সেই গুন্ডার থেকেও বড় গুন্ডা হয়ে আপনাদের রক্ষা করব। ফিরোজ খান বলেন, “অব কোই অপনে কো গিন্ডি বাতাদে কোই নাচনে কা কাম করে, উয়ো উনকা অপনা পেশা হ্যায়”(কেউ নিজেকে গুন্ডা বলছে, কেউ নাচার কাজ করছে, এসব তো ওদের নিজেদের পেশা)।

প্রসঙ্গত, ২০১০ সালে অমর সিংহের সঙ্গেই জয়াপ্রদাকে সমাজবাদী পার্টি থেকে বহিষ্কার করা হয়। ২০১৪ সালে তিনি অজিত সিংহের রাষ্ট্রীয় জনতা দলের টিকিটে ভোটে দাঁড়ালেও পর্যুদস্ত হন।

বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে জয়াপ্রদা বলেন, “এই প্রথম আমি একটি সর্বভারতীয় দলে যোগ দিলাম। আমি এমন একজনের নেতৃত্বে কাজ করব, যিনি সাহসী, দেশের নিরাপত্তা নিয়ে সবসময় ভাবেন এবং ভাবেন ভারতমাতা'র সম্মান নিয়েও। ভারত মাতাকে যারা অপমান করার কথা ভাবে, তিনি তাদের ছেড়ে কথা বলেন না। আমি গর্বিত, এমন এক নেতার ছত্রছায়ায় আসতে পেরে”।

.