মার খেয়ে মাটিতে বসে পড়েছেন আব্দুল সামাদ খান
Allahabad: দিনের আলোয় প্রকাশ্য রাস্তায় পিটিয়ে মেরে ফেলা হল এক প্রৌঢ়কে। বাঁচাতে এলো না একজনও। এমন মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সকালে এলাহাবাদে। এক অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মীকে মারতে মারতে প্রথমে রক্তাক্ত করে দেওয়া হল। তারপর আধমরা করে দিয়ে ফের মারতে মারতে তাঁর একটি হাত প্রায় ছিন্নভিন্ন করে দেওয়া হল। তবু, মার থামল না। এগিয়েও এলো না কেউ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মারা গেলেন সত্তর বছরের আব্দুল সামাদ খান। এই গোটা ঘটনাটিই ধরা পড়েছে সিসিটিভিতে। ওই অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী সাইকেলে করে কোথাও যাচ্ছিলেন। হঠাৎ বাইকে করে লাল জামা পরা একটি লোক তাঁর সামনে এসে তাঁকে প্রহার করতে থাকে।
মারের চোটে মাটিতে পড়ে যান আব্দুল সামাদ খান। তবুও চলতে থাকে মার। আরেকজন ব্যক্তিও এসে যোগ দেয় তারপর। একজন ব্যক্তি সামনের ফুটপাথে দাঁড়িয়ে এই গোটা দৃশ্যটি দেখছিলেন। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশকর্মী মার খেয়ে যাচ্ছেন। ওদিকে রাস্তা দিয়ে বাইক বা স্কুটিতে করে যে-ই যাচ্ছে, তার দিকে তাকাচ্ছেও না। সোজা বেরিয়ে যাচ্ছে পাশ কাটিয়ে অথবা ঘুরিয়ে নিচ্ছে গাড়ি।
দুজনের সঙ্গে তৃতীয়জনও যোগ দেয় এই সময়। তিনজন মিলে বড় লাঠি দিয়ে প্রহার চলতেই থাকে। দেওয়ালে ঠেকে যায় আব্দুল খানের শরীর।
এই ঘটনার প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে যাকে সন্দেহ করা হচ্ছে, তার নাম জুনেইদ। পুলিশ জানিয়েছে তার নামে অন্তত দশটির বেশি অপরাধমূলক কাজের অভিযোগ রয়েছে।
ওই পুলিশকর্মীর ভাই আব্দুল ওয়াহিদ বলেন, অভিযুক্ত মূলত জমির জবরদখল করে। তার সঙ্গে আব্দুল সামাদের জমি বিষয়ক কিছু ঝামেলা চলছিল।
এলাহাবাদ পুলিশ জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে, এটি দু’পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে সমস্যার কারণেই ঘটেছে। মোট দশজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার হয়নি।
প্রসঙ্গত, 2006 সালে পুলিশের চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন আব্দুল সামাদ খান।
সিসিটিভি ফুটেজটি প্রকাশ্যে আসার পর লজ্জায় স্তম্ভিত নাগরিকসমাজ।