This Article is From Dec 28, 2019

অস্থির সময়ের অন্ধকার কাটাতে মুখর হচ্ছেন শ্রীজাত

‘এই অন্ধকার সময়ের সামনে দাঁড়িয়ে তাহলে ঠিক কী করা উচিত আমার? এ কথা আজ নয়, এই নিয়ে বহুবার মনে হয়েছে। কেননা এ অন্ধকার ক্রমবর্ধমান, এ প্রশ্নও চিরকালীন।’

অস্থির সময়ের অন্ধকার কাটাতে মুখর হচ্ছেন শ্রীজাত

'অন্ধকার শ্রীজাত'

কলকাতা:

কবি-সাহিত্যিক-ছবি পরিচালকদের দায় থেকে যায় সমাজের প্রতি। সমাজের ভালো দিনে পাশে থেকে সবার কাছে সেই ‘ভালো'র বার্তা পৌঁছে দেওয়ার। একই ভাবে সমাজ যখন অন্যায়-অবিচারে জর্জরিত তখন সেই অন্ধকার কাটাতে মুখর হওয়া। সমাজের বুদ্ধিজীবী হিসেবে পরিচিত এই সব মানুষদের কাঁধে সেই দায়িত্ব কেউ চাপিয়ে দেয় না। তাঁরা নিজেরাই পথে নামেন। মুখ খোলেন। দিশা খোঁজের অন্ধকার থেকে আলোয় পৌঁছোনোর। সেই দায়িত্ব থেকেই বর্তমান সমাজের ক্ষয়িষ্ণুতার কথা জানাতে চলেছেন কবি Srijato Bandopadhyay।

Exclusive: বড়দিন উদযাপনে ইমন, এই প্রথম বাংলা গানের উদ্বোধন খ্রিস্টমাসে

তারই গৌরচন্দ্রিকা হিসেবে নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করেছেন কবি, ‘এই অন্ধকার সময়ের সামনে দাঁড়িয়ে তাহলে ঠিক কী করা উচিত আমার? এ কথা আজ নয়, এই নিয়ে বহুবার মনে হয়েছে। কেননা এ অন্ধকার ক্রমবর্ধমান, এ প্রশ্নও চিরকালীন। একেক সময় অক্ষম আক্রোশ আর অসহায় আক্ষেপ এসে জড়িয়ে ধরে, নিজের ব্যর্থতাকে চিনতে পারি। পরমুহূর্তে মনে হয়, এই অন্ধকারের বিরুদ্ধে কিছু কি করতে পারি আমি? নাহ, বদলাতে পারি না কিছুই। এ বয়সে নতুন কিছু করবার জোরও তো পাই না খুঁজে। কেবল যে-কাজটুকু করবার চেষ্টা করে এসেছি এই এত বছর ধরে, তার কাছেই আশ্রয় নিতে পারি, তাকেই করে তুলতে পারি আমার ইশতেহার। সে আমার সামান্য লেখা। সব লেখা নয় নিশ্চয়ই, কিন্তু কিছু লেখার জন্মই হয় সময়ের ধারাবিবরণী দিতে গিয়ে। আজ মনে হয় সময় এসেছে, একদিন একজোট হয়ে কেবল সেইসব লেখা পড়বার, যারা কেবলমাত্র এই অন্ধকারের কথাই বলে। এ সময়ে দাঁড়িয়ে, এটুকুই কেবল করতে পারি আমি।'

কবির এই ‘সাহস'কে শক্তি জোগাতে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন ‘কৃতি'-র একদল তরুণ ও উদ্যমী ভাবুক। তাঁদের আবদার, কেবলমাত্র এই ধরনের লেখাদের নিয়ে একখানা জমায়েত করা যাক এবার। জমায়েতের নাম হোক 'Andhokar Srijato'।

“100 Days And Other Stories”: সুরের নেশায় মশগুল এক ‘অভিযাত্রিক'-এর গল্প

তাঁদের আবদার সসম্মানে গ্রহণ করে কবির যুক্তি, ‘বহু দ্বিধা ছিল মনে। কেবল নৈরাশ্যের কথা, কেবল পরাজয়ের হতাশা যেসব লেখার রসদ, তাদের শুনতে কি একজন মানুষও আসবেন? কিন্তু আজ, এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে মনে হয়, আসবেন। নিশ্চয়ই আসবেন। আর একান্তই যদি না-ও আসেন, তাহলেও, এখন এইটাই আমার কাজ। বারেবারে সেইসব কশাঘাতের লেখাদেরই আউড়ে যাওয়া, যতক্ষণ না ক্লান্ত হয়ে টলে পড়ছি।'

কবি-কথায়, ‘এমন অনুষ্ঠান আগে কোথাও হয়েছে কিনা জানা নেই, যার উদ্দেশ্য কেবল এবং কেবলই অন্ধকারের কথা বলা। যার কোথাও উদযাপনের লেশমাত্র নেই, কেবল আছে নিমজ্জনের সংলাপধ্বনি।' তাই তিনি কুর্নিশ জানিয়েছেন ‘কৃতি'কে। ‘অন্ধকার শ্রীজাত' আয়োজন করার দুঃসাহস দেখানোর জন্য।

EXCLUSIVE: ‘জীবন একটাই, তাই সব শখ মিটিয়ে নিচ্ছি': বাবুল সুপ্রিয়

 মঞ্চে শ্রীজাত মুখর হবেন আগামী ৫ জানুয়ারি। বেলা বারোটা থেকে, নিউটাউন আর্টস একর প্রেক্ষাগৃহে। কবির আন্তরিক আমন্ত্রণ, ‘একক পাঠের এই আয়োজন। কিন্তু তা জানাবার হয়তো এইটাই ঠিকঠাক সময়। তাই জানালাম সকলকে। আজ শুধু এটুকু বলা, এই অন্ধকারে গলা অবধি ডুবে থেকে যেটুকু উচ্চারণ সম্ভব, সেটুকু নিয়েই আমি হাজির থাকব সেদিন। আপনারাও যদি থাকেন পাশে, মনে হবে, অন্তত আমি একা নই...'

.