নিউ দিল্লি: যে বাতাসে শ্বাস নিচ্ছি প্রতিদিন তা দিনে দিনে বিষাক্ত হয়েই যাচ্ছে। এ সপ্তাহের শুরুতেই সরকারিভাবে পরিচালিত এয়ার কোয়ালিটি ফরকাস্টিং অ্যান্ড রিসার্চ জানিয়েছে দিল্লির বায়ু গুণমানের পতন ঘটেছে এবং এটি যথেষ্ট খারাপ পরিস্থিতির দিকেই ইঙ্গিত করছে। শীতকাল আসছে এবং বিশেষজ্ঞরা দেশের উত্তরাঞ্চলে ভারী ধোঁয়াশায় ভবিষ্যদ্বাণীও করছেন।
দূষিত বায়ু আমাদের ফুসফুসে ওজোন, নাইট্রোজেন ডাই অক্সাইড, কণাযুক্ত বস্তু, ডিজেল নিষ্কাশিত কণা ইত্যাদি মিশিয়ে দেয়। বায়ু দূষণের ফলে গলা শুকিয়ে যেতে পারে, ত্বক, চোখ জ্বলতে পারে, শ্বাস নিতে সমস্যা হয়, কাশি, গলা খুসখুস, নাক জ্বালা, এবং রক্তচাপ বাড়তে পারে। আমাদের ফুসফুসের আস্তরণের মধ্যে উপস্থিত প্রতিরক্ষামূলক অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি এই দূষণের প্রভাবগুলি প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে, তবে কখনও কখনও সেটিও যথেষ্ট নয়। প্রচুর খাবার, ফল, সবজি এবং মশলাতে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস থাকে যা ফুসফুসকে বায়ু দূষণের কুপ্রভাব থেকে যত্নে রাখতে সাহায্য করে। এর মধ্যে সবচেয়ে উপকারী উপাদানটি হল মধু। গলা খুসখুস, গলা ব্যথা, গলার জ্বালা কমাতে বহু প্রাচীনকাল থেকেই এটি ঘরোয়া টোটকা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে।
বায়ু দূষণ হাঁপানির একটি বড় কারণ
মধুতে ভিটামিন সি, ডি, ই কে এবং বি কমপ্লেক্স থাকে। এতে বিরোধী প্রদাহজনক বৈশিষ্ট্য আছে, অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্যও আছে মধুতে।
বায়ু দূষণের কারণে গলা খুসখুসের সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মধু কীভাবে ব্যবহার করবেন?
1 চা চামচ মধু নিন বা সামান্য লেবুর রস। টাটকা আদার কুচি মেশান এর সঙ্গে। কাশির সিরাপ হিসেবে দারুণ কাজ করবে এই মিশ্রণ। শরীরে ভিটামিন সি-এর পরিমাণও বাড়বে। আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ ডাঃ আশুতোষ গৌতমের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি নীচের পদ্ধতি অনুসারে এই কার্যকরী আয়ুর্বেদিক মিশ্রণ ব্যবহার করতে পারেন।
প্রয়োজনীয় উপকরণ:
জল - 1 কাপ
আদা – 1টা ছোট টুকরো
তুলসী- 4-5 পাতা
হলুদ - এক চিমটে
কালো মরিচ - 5 টি দানা
মধু - 1 চা চামচ
রক সল্ট – এক চিমটি (ইচ্ছা অনুযায়ী)
1. একটি প্যান নিন এবং এতে জল যোগ করুন। বেশি আঁচে ফুটিয়ে নিন। ফুটতে শুরু করলেই এতে আদা, তুলসী পাতা, হলুদ আর কালো মরিচ যোগ করুন।
2. এবার জল কমে অর্ধেক না হওয়া পর্যন্ত এই মিশ্রণটি ফোটাতে থাকুন। এবার একটি কাপে ঢেলে নিন। এক চা চামচ মধু মেশান, ইচ্ছা হলে লবণ। আপনার মিশ্রণ তৈরি!