Jamshedpur: ঘটনায় এখনও পর্যন্ত তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে
হাইলাইটস
- তিন বছরের শিশুকে গণধর্ষণ করে খুন করল দুই দুষ্কৃতী
- একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে শিশুটির ছিন্নভিন্ন দেহ পায় পুলিশ
- দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ
জামশেদপুর: নৃশংস এক ঘটনায় শিউরে উঠল দেশ। একটি তিন বছরের শিশুকন্যাকে গণধর্ষণ (Jamshedpur Rape) করে নৃশংস ভাবে হত্যা করল দুই ধর্ষক। ঝাড়খণ্ডের (Jharkhand) জামশেদপুরের (Jamshedpur) এই ঘটনায় স্তম্ভিত গোটা দেশ। ঘুমন্ত মায়ের কোল থেকে তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে তার উপরে নৃশংস অত্যাচার (Jamshedpur Rape) চালায় দুষ্কৃতীরা। ২৭ জুলাই গ্রেফতার হওয়া এক অভিযুক্ত এখনও জানাতে পারেনি শিশুটির শিরচ্ছেদ করার পর মাথাটি সে কোথায় রেখেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই অভিযুক্ত রিঙ্কু সাহু ও কৈলাস পুলিশকে ঘটনাস্থলে নিয়ে যায়, যেখানে শিশুটির ছিন্ন দেব প্লাস্টিকের ব্যাগে ভরে ফেলে এসেছিল তারা। পুলিশ গোয়েন্দা কুকুরের সাহায্যে ছিন্ন মাথাটির খোঁজে তল্লাশি চালালেও প্রবল বৃষ্টির কারণে এখনও তা খুঁজে পাওয়া যায়নি।
অন্যতম অভিযুক্ত রিঙ্কুর লম্বা ক্রাইম রেকর্ড রয়েছে। ২০১৫ সালে এক শিশুকে অপহরণ ও তাকে হত্যার চেষ্টার অপরাধে সে কারাবাস করছিল। সম্প্রতি সে জামিন পেয়েছিল।
উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে একাদশ শ্রেণির ছাত্রীর প্রশ্নে নিরুত্তর উত্তরপ্রদেশ পুলিশ
সে এবং তার বন্ধু কৈলাস দু'জনেরই বয়স ৩০-এর কোঠায়। তারা পুলিশকে জানিয়েছে, তারা সারাদিন ধরে ওই শিশুটিকে ধর্ষণ (Jamshedpur Rape) করার পর তাকে হত্যা করে, কেননা শিশুটি কান্না থামাচ্ছিল না।
মঙ্গলবার স্টেশন থেকে ৪ কিমি দূরে আবর্জনার স্তূপের ধারে ঝোপের আড়াল থেকে দেহটি আবিষ্কৃত হয়।
উন্নাও কাণ্ডের নিগৃহীতার দুর্ঘটনায় বিজেপির কুলদীপ সেঙ্গারের বিরুদ্ধে মামলা করল সিবিআই
গত বৃহস্পতিবার শিশুটি তার মায়ের কোলে ঘুমোচ্ছিল টাটানগর রেলওয়ে স্টেশনে। সেখান থেকেই সে নিখোঁজ হয়ে যায়। সিসিটিভি ফুটেজ থেকে দেখা যায় টিশার্ট আর শর্টস পরা একটি লোক (যাকে রিঙ্কু বলেই মনে করা হচ্ছে) শিশুটিকে কোলে নিয়ে সেখান থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে।
কয়েক ঘণ্টা পরে শিশুকে খুঁজে না পেয়ে তার মা পুলিশের কাছে যান। তিনি জানান, এ ব্যাপারে নিজের পুরুষ সঙ্গী মনু মণ্ডলকে তিনি সন্দেহ করেন। প্রসঙ্গত, এই মনুর সঙ্গেই নিজের স্বামীকে ছেড়ে পুরুলিয়ে থেকে এখানে আসেন তিনি। মনুকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁকে এখনও জেরা করা হচ্ছে।
সিসিটিভি ফুটেজ দেখে পুলিশের পক্ষে সহজ হয়েছে মূল অভিযুক্তকে চিহ্নিত করা। রিঙ্কু সাংবাদিকদের জানিয়েছে, ‘‘আমি ওকে তুলে নিয়ে ভুল করে ওখান থেকে বেরিয়ে আসি। আমি পারিনি এবং ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।''
রিঙ্কুর মা একজন কনস্টেবল। প্রতিবেশীদের দাবি, এর আগের সমস্ত অপরাধের ক্ষেত্রে তিনি ছেলের অপরাধকে লঘু প্রতিপন্ন করতে সহায়তা করেছেন। তিন সন্তানের বাবা রিঙ্কু এর আগেও শিশু অপহরণ ও নিগ্রহের ঘটনা ঘটিয়েছে। কৈলাসের বাবা একজন জওয়ান। তিনি জম্মু ও কাশ্মীরে কর্মরত।
উন্নাও ধর্ষণ কাণ্ডে যখন দেশ তোলপাড়, সেই সময়ই জামশেদপুরের এই নৃশংস ঘটনা সামনে এল। উন্নাওয়ের নিগৃহীতা মেয়েটি এখনও ভেন্টিলেশনে রয়েছে। গত রবিবার এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারাত্মক জখম হয় সে। মূল অভিযুক্ত বিজেপির চার বারের বিধায়ক কুলদীপ সেঙ্গারই ওই দুর্ঘটনার চক্রী, এমনটাই অভিযোগ কিশোরীর পরিবারের।