মূল অভিযুক্ত মনিকে (৩০) গ্রেফতার করা হলেও, পলাতক অপর দুই অভিযুক্ত মুলি আর রাজু।
হাইলাইটস
- বউদির তন্ত্রসাধনার কোপে ক্ষতবিক্ষত তরুণী।
- সারা শরীরে ১০১টি কাটার দাগ নিয়ে চিকিৎসাধীন ওই তরুণী।
- এই ঘটনায় অভিযুক্তের দোসর তাঁর স্বামী ও ভাই।
বরেলি (উত্তর প্রদেশ): বলি দেওয়ার উদ্দেশে নৃশংসভাবে নিজের ননদকে ক্ষতবিক্ষত করলেন বরেলির এক মহিলা! জখম ওই তরুণীর দেহে ১০১টি ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন দেখে হতবাক বরেলি পুলিশ। অভিযুক্ত সম্ভবত তন্ত্রসাধনা করতেন। তার কোপে পড়েই এভাবে ক্ষতবিক্ষত হতে হয়েছে ওই তরুণীকে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিক তদন্তের পর এমনই জানিয়েছে পুলিশ। আরও জানা গেছে, নিজের অসুস্থ বাবাকে সারিয়ে তুলতে, ননদকে এভাবে বলি দিতে চেয়েছিলেন অভিযুক্ত মণি। যে কাজে তাঁকে সাহায্য করে মণির স্বামী মুলি এবং ভাই রাজু। মূল অভিযুক্ত মণিকে (৩০) গ্রেফতার করা হলেও, পলাতক অপর দুই অভিযুক্ত মুলি আর রাজু। মঙ্গলবারের এই ঘটনায় ওই থানার বারাদারি গ্রামে উত্তেজনা তুঙ্গে।
স্থানীয় একটি হাসপাতালের আইসিইউতে জখম রেণুর চিকিৎসা চলছে। তাঁর সারা দেহ আর মুখ মিলিয়ে মোট ৩০০টি সেলাই পড়েছে, হাসপাতাল সূত্রে খবর। বারাদারি থানার আধিকারিক নরেশ ত্যাগী বলেছেন, জখম তরুণী, রেণুর ভাইয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তিন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয়ও দণ্ডবিধির (আইপিসি) ৩০৭ ধারায় (খুনের চেষ্টা) মামলা দায়ের হয়েছে। তিনি আরও বলেছেন, রেণু একটু সুস্থ হলেই আমরা ওর বয়ান রেকর্ড করব। মূল অভিযুক্ত মণিকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
যেহেতু জখম তরুণীর দেহে ১০১টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তাই আমরা নরবলির প্রসঙ্গ উড়িয়ে দিতে পারছি না। কারণ মণি তন্ত্রসাধনা করতেন, এটা আমরা প্রাথমিক তদন্তে জেনেছি এবং কুসংস্কারাচ্ছন্নও ছিলেন ওই মহিলা। তাই নিজের বাবাকে বাঁচাতে তিনি, ননদের বলি দিতেই পারে। জানা গেছে, আট বছর আগে বরেলির গাংঘোরার মণির সঙ্গে বারদারির সঞ্জীব ওরফে মুলির বিয়ে হয়েছিলো।
স্থানীয় সূত্রে খবর, রেণুর বর ও নিজের শাশুড়িকে একটা আলাদা ঘরে তালাবন্দি করে ননদকে উৎসর্গ করার পরিকল্পনা করেন মণি। কিন্তু যখন তাঁর শরীরে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা শুরু করেন ওই তিন অভিযুক্ত, তখন কোনওভাবে ঘর থেকে পালিয়ে প্রাণ বাঁচান রেণু। এমনটাই বুধবার জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
এরপর তিনি বাড়ি থেকে দৌড়ে কিছুটা গিয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সে সময় পাশ দিয়ে একটা পুলিশের গাড়ি যাচ্ছিল। সেই গাড়িই রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত রেণুকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে. পরে জ্ঞান ফিরলে পুলিশকে সব বলেন ওই তরুণী।
(এনডিটিভি এই খবর সম্পাদনা করেনি, এটি সিন্ডিকেট ফিড থেকে সরাসরি প্রকাশ করা হয়েছে।)